সংক্ষিপ্ত
নবান্নের নয়া নির্দেশিকায় স্পষ্টতই বলা হয়েছে, সন্ধ্যে ৭টার পর বন্ধ সমস্ত লাইনেই বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন। তবে বাকি যে সময় লোকাল চলবে তাতে ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী উঠতে পারবেন না।
উদ্বেগ বাড়ছিল গত বছরের শেষ থেকেই। এমনকী লকডাউন(Lockdown) নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল ক্রমশ। এমনকী ডিসেম্বরের শেষার্ধ থেকে করোনা উদ্বেগ বাড়তে থাকায় বড়দিন ও বর্ষবরণে(Christmas and New Year) লকডাউনের ঘোষণার কথা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে তা হয়নি। এদিকে গত চার দিনে কলকাতার করোনা গ্রাফ(Kolkata Corona Graph) বেড়েছে চার গুণ। এমতাবস্থায় এবার জল্পনা সত্যি করেই আংশিক লকডাউনের(Partial lockdown) পথে পা বাড়ল রাজ্য সরকার(State Government)। ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যব্যাপী জারি হয়ে গিয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। ইতিমধ্যেই লকডাউনের কড়াকড়ির বিষয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী(Chief Secretary of the State Harikrishna Dwivedi)।
নবান্নের নয়া নির্দেশিকায় স্পষ্টতই বলা হয়েছে, সন্ধ্যে ৭টার পর বন্ধ সমস্ত লাইনেই বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন। তবে বাকি যে সময় লোকাল চলবে তাতে ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী উঠতে পারবেন না। যদিও স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে দূরপাল্লার ট্রেন। পাশাপাশি নবান্নের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে বাজার, সিনেমা হল, শপিং মল। তবে বন্ধ থাকবে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ। তবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে স্বাভাবিক ছন্দেই চলবে মেট্রো পরিষেবা। অন্যদিকে নৈশ কার্ফুর সময় শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হবে। অন্যদিকে বেড়ি পড়েছে সামাজিক অনুষ্ঠানে।
আরও পড়ুন- সরকারের অপদার্থতাতেই রাজ্যে করোনা বিস্ফোরণ, লকডাউন নিয়ে মমতাকে নিশানা বিজেপির
যে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি উপস্থিতিতে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে করা যাবে সভা-সমাবেশ-বৈঠক। সুইমি-পুল-সেলুন বিউটি পার্লার বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। একইসাথে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হতে চলা দুয়ারে সরকারও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বন্ধ হয়েছে ছাত্র সপ্তাহ উদযাপনের উনুষ্ঠানও। অন্যদিকে কলকাতায় ব্রিটেন থেকে আসা বিমানেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একইসাথে সপ্তাহে দুটির বেশি বিমান চলাচল করবে না মুম্বই বা দিল্লি থেকে কলকাতায়। পাশাপাশি যারা বিদেশ থেকে আসছেন তাদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষার পরিমাণ আরও বাড়নোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও পুরভো, ফিল্ম ফেসটিভ্যাল, বইমেলা নিয়ে এখনও সঠিক কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি সরকারের তরফে। এদিকে এই আতঙ্কের আবহে পুরভোটের বাস্তবায়ন নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বিজেপি। এমনকী বিরোধীদের দাবি সঠিক সময়ে বিধিনিষেধ না আরোপ করার কারণেই আজ করোনা বিস্ফোরণের মুখে দাঁড়িয়ে গোটা রাজ্য।