সংক্ষিপ্ত
প্রয়াত কিংবদন্তি সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। হলুদ বসন্ত বুদ্ধদেব গুহর-র বিখ্য়াত সাহিত্য়গুলির মধ্য়ে একটি।
প্রয়াত কিংবদন্তি সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। রবিবার রাতে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বুদ্ধদেব গুহর লেখা অসংখ্য গল্প আজও সবাই ফিরে ফিরে দেখে। চলুন আরও একবার ফিরে দেখা যাক।
আরও পড়ুন, 'মুহূর্তরা মুহুর্তের কাছে ঋণী', সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ-র মৃত্যুতে স্মৃতির শহরে ঋত্বিক
জঙ্গলমহল তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। এরপর মাধুকরী, কোজাগর, অবাবহিকা,বাবলি একাধিক উপন্য়াস তিনি পাঠকদের উপহার দিয়েছেন। এর মধ্যে মাধুকরী দীর্ঘদিন ধরে বেস্টসেলার। লেখক হিসেবে খুবই অল্প সময়ে তিনি প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। এর মধ্যে তাঁর বিতর্কিত উপন্য়াস মাধুকরী দীর্ঘদিন ধরে বেস্টসেলার। ছোটদের জন্য তাঁর প্রথম বই 'ঋজুদার সঙ্গে জঙ্গলে'। ঋজুদা তাঁর সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় অভিযাত্রিক গোয়েন্দা চরিত্র। তাঁর সৃষ্ট ঋজুদা বা ঋভু আজও প্রাণে হারায় বাঙালি। আনন্দ পুরষ্কার পেয়েছেন ১৯৭৬ সালে। হলুদ বসন্ত বুদ্ধদেব গুহর-র বিখ্য়াত সাহিত্য়গুলির মধ্য়ে একটি। গল্পের প্রধান চরিত্র ঋজু এবং নয়না। ঋজু নয়নার দাদার বন্ধু। সেই সূত্রেই নয়নার বাড়িতে যাতায়াত। সেখান থেকেই প্রেম। ঋজু, নয়নাকে পাগলের মতো ভালবাসে। তবে হলুদ বসন্তকে শুধুই প্রেমের উপখ্য়ান বলা যাবে না। সেখানে আছে জীবনের নানা অনুভূতি।
আরও পড়ুন, 'বাংলাদেশ সহ অসমের উগ্রবাদীরা আশ্রয় নিচ্ছে রাজ্যে', 'সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর' বলে তোপ দিলীপের
অপরদিকে, লেখকের রচিত মাধুকরী অন্যতম একটি সৃষ্টি। যেখানে শক্তিশালী চরিত্র ইঞ্জিনিয়ার পৃথু ঘোষ। যে বড় বাঘের মতো বাঁচতে চেয়েছিল। বড় বাঘের যেমন হতে হয় না কারও উপর নির্ভরশীল।না নারী, না সংসার, না গৃহ, না সমাজ, সেভাবেই স্বরাট, স্বয়ম্ভর হয়ে বাঁচবে চেয়েছিল পৃথুও। এছাড়াও কোজাগর উপন্যাসে বুদ্ধদেব গুহর লেকা ট্রেডমার্ক উপদানের সবই প্রায় উপস্থিত. ডালটনগঞ্জের ছোট্টো এক রিজার্ভ ফরেস্ট এবং সেখানকার গরিব অধিবাসীদের নিয়ে এর মূল ঘটনা। এখানে কথক হলেন সায়ন মুখোপাধ্য়ায়। যিনি একজন বাঙালি বাঁশবাবু নাম পরিচিত। গরিব ওঁরাওদের শোষণ করে গোদা শেঠ। মাহাতো আর রওশনলালের মতো শোষকরা। ওঁরারদেরই একজন নানুয়া তাঁদেরকে জাগাতে চেষ্টা করে। এর মাঝেই বাঁশবাবু এবং তিতলির চরিত্র নিয়ে এগিয়ে চলে গল্প।
আরও পড়ুন, 'জগদ্ধাত্রী পুজো পর্যন্ত উপনির্বাচন নয়', শাসকদলের চাপ বাড়িয়ে টুইট তথাগতর
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এপ্রিল মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এই সাহিত্যিক। বার্ধক্য জণিত কারণে জটিলতা থাকার সত্ত্বেও কঠিন লড়াই জয় করে বাড়ি ফিরেছিলেন বুদ্ধবাবু। কিন্তু করোনা পরবর্তীতে শরীর ভাঙতে থাকে। মাঝে কেটে যায় অনেকগুলি কয়েকমাস। অগাস্টের শেষে এসেই ফের শরীর খারাপ, শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় এক বেসরকারী হাসপাতালে। সেখানে চার সদস্যের একটি চিকিৎসক দল বুদ্ধদেব গুহর চিকিৎসার করছিলেন । চিকিৎসক জানিয়েছেন, সংক্রমণ ছড়িয়েছিল মুত্রনালীতে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় আইসিইউতে। তবে শেষ রক্ষা হল না। রবিবার রাত ১১.২৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বুদ্ধদেব গুহ।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস