সংক্ষিপ্ত
- মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম ট্রমা কেয়ার সেন্টার থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন
- ডায়েবেটিস, পুলিশের স্বাস্থ্য সংরক্ষণ, চিকিৎসকের ঘাটতির মতো প্রসঙ্গ এল
- এদিন অনুষ্ঠানস্থল থেকে মুখ্যমন্ত্রী সাপের কামড় ও সেই বিষয়ে সচেতনতা নিয়ে মুখ খোলেন
আগেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন সরকারি কর্মচারীদের হাফছুটি থাকবে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম ট্রমা কেয়ার সেন্টার থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন। ডায়েবেটিস, পুলিশের স্বাস্থ্য সংরক্ষণ, চিকিৎসকের ঘাটতির মতো প্রসঙ্গ এল।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, রাজ্যে প্রায় ১৬ হাজার চিকিৎসক প্রয়োজন, কিন্তু এই বৈষম্য নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। প্রতিটি চিকিৎসকের ওপরে পড়া বিপুল চাপের কথা স্বীকার করে নেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের উপকারের কথা ভেবেই ট্রমা কেয়ার সেন্টারের জন্যে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করেছে সরকার।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিকৃতি, গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী
জলাভাব নিয়ে মহাচিন্তায় মমতা, বিপদ মোকাবিলার উপায় বাতলালেন নিজেই
এদিন অনুষ্ঠানস্থল থেকে মুখ্যমন্ত্রী সাপের কামড় ও সেই বিষয়ে সচেতনতা নিয়ে মুখ খোলেন। কৃষকদের জন্য়ে বিশেষ জুতোর কথা বলেন তিনি। এদিন নিজের প্রসঙ্গ টেনে এনেই বলেন, 'আমি হাওয়াই চটি, আমার পক্ষেও বিষয়টি ডেঞ্জারাস। সাপ প্রথম পায়ে কামড়ায়।' প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী এদিন এলিয়ট পার্কের প্রসঙ্গও তুলে আনেন। বলেন 'আমি এলিয়ট পার্কে আর হাঁটতে যেতাম, এখন আর যাই না। এলিয়ট পার্কে দেখেছিলাম তিনটে সাপ ফনা তুলে দাঁড়িয়ে আছে।' মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, পুলিশ তাঁকে ভুল বুঝিয়েছিল। পুলিশ বলেছিলে, এগুলি জলঢোরা সাপ। তখন তিনি এই মন্তব্যের প্রতিবাদও করেন। তিনি বলেন, দুটো সাপ দেখেছি দাঁড়িয়ে ফণা মারছে। জল কম থাকলে কী ভাবে ওঠে এই সাপ? মুখ্য়মন্ত্রীর হাঁটার অভ্য়াস সকলে জানে। তিনি অতীতে নিয়ম করে বিকেলে হাঁটতে যেতেন। সঙ্গে থাকতেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। হঠাৎ করেই এই অভ্যেসে ছেদ পড়ে। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু বছর।
কিন্তু বিরতির কার্যকারণ জানা যায়নি। এবার নিজেই তা খোলসা করলেন।