সংক্ষিপ্ত

  • বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচন করলেন মমতা
  • মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন, মিউজিয়াম হবে বিদ্যাসাগর কলেজে
  • রাজ্য সরকার এক কোটি টাকা দেবে এই কলেজের উন্নতিকল্পে

সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। এরই মধ্যে বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচন করলেন মমতা। মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন, মিউজিয়াম হবে বিদ্যাসাগর কলেজে। রাজ্য সরকার এক কোটি টাকা দেবে এই কলেজের উন্নতিকল্পে। বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগরের বাড়ি হেরিটেজ বিল্ডিং হবে।  কথায় কথায় এল সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। সেই প্রসঙ্গে যিশুখ্রিস্টের বাণীর আশ্রয় নিলেন মমতা। 

এদিন মমতা মঞ্চ থেকে বলেনঃ 

  • বিদ্যাসাগরের ২০০ বছর উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান করতামই। বীরসিংহ গ্রামে যেতে চেয়েছিলাম। আমি সব বিদ্বজনের সঙ্গে একমত। একটা মূর্তি ভেঙে দিয়ে কিছু করা যায় না। বাংলা ফেলনা নয়। গান্ধীজী গুজরাটের থেকে বাংলায় বেশি সম্মান পেয়েছিলেন। স্বাধীনতার দিন তিনি বেলেঘাটায় ছিলেন। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথ রাস্তায় নেমেছিলেন। লিখেছিলেন এই মনিহার আমার নাহি সাজে। 
  • আমি বলব, ঈশ্বর ওরা জানে না ওরা কি করছে ওদের ক্ষমা করো। এটা আমাদের সংস্কৃতিকে আঘাত করা। এটা বাংলাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত।
  • চার হাজার টাকার মূর্তি আমরা পারব না। কলেজ স্ট্রিট চত্বরে চারটি মূর্তি করব। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নজরুল ইসলামের মূর্তি করব।
  • বিবেকানন্দের বাড়ি দখল হয়ে যাচ্ছিল। আমি তিন দিনে কর্পোরেশনকে দিয়ে সেই বাড়ি অধিগ্রহণ করিয়েছি। নিবেদিতার দার্জিলিং-এর বাড়ি আমি অধিগ্রহণ করেছি। 
  • দক্ষিণেশ্বর, পাথরচাপড়ি, ফুরফুরা শরীফ আমরা করেছি। 
  • গেরুয়া অনেকে পরেন, সবার দ্বারা গেরুয়া হয় না। মাথায় ফেট্টি বেধে সংস্কৃতি বদল হয়না। কার্ল মার্কসের মূর্তি আমায় ভাঙতে হয়নি। পেরিয়ারের মূর্তি ভেঙেছিল কারা? রুখে দাঁড়ানোর দরকার রয়েছে। সংস্কৃতি ভাষাকে ভেঙে দিতে চায় নাকি ওঁরা! 
  • জেলে যেতে হলে কী যায় আসে অনেক মার খেয়েছি জীবনে।
  • আমি মৃত্যুকে সমর্থন করি না। মিডিয়া বিজেপির পকেটে চলে গিয়েছে। মিডিয়াকে কিনে নিয়েছে বিজেপি। আদালতকে কিনে নিয়েছে বিজেপি। মানুষ কোথায় যাবে! 
  • যারা এই কাজ করেছে তাদের কোনও অনুতাপও নেই। মায়ের কোলের বাচ্চাকে মেরেছে ওরা।
  • ওরা নিজেদের গুলিতে মারা গিয়েছে। নির্মল কুণ্ডু খুন হয়েছে। জগদ্দলে খুন হয়েছে দু'জন।
  • আমি রাজ্যপালকে সম্মান করি। তাঁর ভাষণকে করি না। দশটি খুন হয়েছে, রাজ্যপাল বলছেন ১২।
  • যে দশজন মারা গিয়েছে, তাদের সকলকে টাকা দেবেন। আমাকে মেরে দিন। আমি লড়তে লড়তে এই জায়গায় এসেছি। বাংলার সাহিত্যিক, শিল্পী, কবি সকলে জোট বাধুন। বাংলা গুজরাট নয়। পরিকল্পনা সফল হতে দেবেন না।
  • গণমাধ্যম কেন দেখাচ্ছে না ২৫ জন যাদব মৃত্যুর খবর। বিদ্যাসাগরকে ঘিরে যে ভ্যন্ডালিজম হয়েছে আমরা  লজ্জিত। রামমোহন রায়, নজরুলকে গালাগালি দিলে সহ্য করব না।