সংক্ষিপ্ত
- কাটমানি নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী
- নবান্নে প্রশাসনিক ভার্চুয়াল বৈঠকে সবার সামনেই কটাক্ষ
- এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি
- রাজ্য়ের দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা কী বললেন মমতা
করোনায় কাটমানি নিয়ে এবার বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। নবান্নে প্রশাসনিক ভার্চুয়াল বৈঠকে সবার সামনেই এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকেই রাজ্য় সরকার কত মাস্ক কিনেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। অনেক কিটও তো ত্রুটিপূর্ণ বলে ধরা পড়েছিল। নিশ্চই তার পিছনেও কিছু ছিল।
রাজ্য় রাজনীতির সাম্প্রতিক অতীত বলছে, কদিন আগেই করোনা কিট নিয়েও দুর্নীতি সামনে এসেছে। মহামারী কিট নিয়েও রাজ্য় সরকারের এই দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছেন মমতা। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড়েননি খোদ রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। এর পিছনেও শাসক দলের কাটমানি নেওয়ার বিষয় থাকতে পারে বলে মন্তব্য় করেছেন তিনি।রাজ্য়পাল বলেন, কেনাকাটার কাটমানি কোথায় গেল? কে বা কারা লাভবান হলেন? সেটা খোঁজাই তদন্তের একমাত্র কাজ হওয়া উচিত। এদিন সেই প্রসঙ্গের পাল্টা দিতে গিয়ে আইসিএমআর-এর ত্রুটিপূর্ণ কিটের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
মমতা বলেন, এখন কেউ কেউ সরকার কত মাস্ক কিনেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। অনেক কিট তো ধরা পড়ল ভেজাল বলে। ধরা পড়ার পরে কিট ফিরিয়ে নিয়েছে আইসিএমআর। ধড়া যখন পড়েছিল,নিশ্চই তার পিছনে কিছু ছিল৷ কেউ যেন প্রশ্ন না করেন, পশ্চিমবঙ্গ কোথা থেকে মাস্ক কিনেছে৷ আমি প্রশ্ন করব তোমরা কোথা থেকে কিটগুলো কিনেছিলে,যেগুলো ভেজাল ছিল।
এই বলেই অবশ্য় থেমে থাকেননি মুখ্য়মন্ত্রী। করোনা আবহে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে মমতা বলেন,কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জিএসটি বাবদ ৪ হাজার কোটি টাকা পাব। এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে রাজ্য় ৫৩ হাজার কোটি টাকা পাবে। কিন্তু কোভিডের মতো পরিস্থিতিতে কোথায় কেন্দ্রের সাহায্য় পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি পদক্ষেপে নিজেদেরই সব করতে হচ্ছে।