সংক্ষিপ্ত

  • অটল বিহারী বাজপেয়ীর ছবি উন্মোচনে মমতাকে আমন্ত্রণ
  • আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়
  • রাজভবনে রাখা হবে নতুন ছবি
  • আমন্ত্রণ পেয়েও সাড়া দিলেন না মুখ্যমন্ত্রী

অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন পালন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের অভিযোগ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর একটি নতুন ছবি উদ্বোধনের জন্য এ দিন রাজভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে হাজির হওয়া দূরে থাক, মমতা আমন্ত্রণপত্রের প্রাপ্তিস্বীকার পর্যন্ত করেননি বলে অভিযোগ রাজ্যপালের। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি বিধানসভার অধ্যক্ষ, রাজ্যের মুখ্যসচিব কেউই অনুষ্ঠানে আসেননি বলে এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। 

এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কেরিয়ারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর অবদান নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, 'আমি দেশের যে কোনও ব্যক্তিকে এই ছবি উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানালে তিনি সম্মানিত বোধ করতেন। কিন্তু আমি মনে করেছিলাম এই ছবি উদ্বোধনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজেই যথার্থ ব্যক্তি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণের প্রাপ্তিস্বীকার পর্যন্ত করেননি। আপনারা সবাই জানেন ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক কেরিয়ারে অটল বিহারী বাজপেয়ীর কতখানি অবদান ছিল।'

আরও পড়ুন- 'ব্যাঁকা এবং ন্যাকা', রাজ্যপালকে আক্রমণ করতে গিয়েই কি সীমা ছাড়ালেন মমতা

আরও পড়ুন- রাজ্যপালকে ঘিরে সমাবর্তনে ধুন্ধুমার, পিছনে কি রাজনৈতিক মদত, কী বলছে যাদবপুর

রাজ্যপাল জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে একাধিকবার অটল বিহারী বাজপেয়ীর চারিত্রিক গুণ নিয়ে প্রকাশ্যেই প্রশংসা করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে এসে তাঁর মায়ের সঙ্গে অটল বিহারী বাজপেয়ীর সাক্ষাতের ঘটনারও উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। জগদীপ ধনখড়ের দাবি, গত ২৭ নভেম্বর রাজভবন থেকে চিঠি দিয়ে ছবি উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু তাঁর তরফ থেকে কোনও সাড়াই মেলেনি। 

রাজভবনের সেন্ট্রাল হলে অটল বিহারী বাজপেয়ীর একটি  পুরনো ছবি রয়েছে। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপাল রাজভবনে রাখার জন্য আরও একটি ছবি তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। শিল্পী হিসেবেও পশ্চিমবঙ্গের একজনকেই বাছা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। সেই ছবির উদ্বোধনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। 

রাজ্যপাল অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই ঘটনার পরেও সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করে তিনি আবারও প্রয়োজনে মুখ্যনমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন এবং আমন্ত্রণ জানাবেন। ধনখড় বলেন, 'কেউ সাড়া না দিলে তো আমি চুপচাপ বসে থাকতে পারি না।'