সংক্ষিপ্ত
- অবশেষে করোনার সাথে বিয়েটা সেরেই ফেললেন
- কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল এই নিয়ে জল্পনা
- বারাসতের কালী রূদ্র পঞ্চাশ পার করে আবার বিয়ে করলেন
- কেন ফের বিয়ের পিড়িতে বসলেন এই রাজনৈতিক কর্মী
সব জল্পনা কল্পনার অবসান। অবশেষে করোনার সাথে বিয়েটা সেরেই ফেললেন জনৈক বারাসাত নিবাসী । কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, বারাসাতের কালী রূদ্র পঞ্চাশ পার করে আবার বিয়ে করবেন। কালী রূদ্র একজন পুরোনো রাজনৈতিক কর্মী। তাঁর বিয়ে ঘিরে চলছিল বিভিন্ন স্তরে জল্পনা। কালী রূদ্র নিজেও জল্পনা বাড়িয়ে জানিয়েছিলেন যে তিনি সোমবার বিয়ে করতে চলেছেন। সেইমতো কালী রূদ্র সোমবার সব মিলিয়ে জনা পঞ্চাশেক মানুষকে নিমন্ত্রণ করেন। সোমবার সকালে শুভলগ্ন দেখে বিয়ে করে ফেললেন করোনাকে। তবে পাত্রী করোনার মূর্তি। পাত্র জানান, করোনা রোগীকে দেখতে হবে সহমর্মিতার চোখে। তাই করোনার সঙ্গে বিয়ে সারলেন তিনি।
সোমবার কালী রুদ্রের এই অভিনব বিবাহ কোনও রক্তমাংসের শরীরের সাথে নয়। করোনা ভাইরাসের রূপক এক বিগ্রহে মালা পরিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বারাসাত নিবাসী কালী রূদ্র। লক্ষ্য সামাজিক সচেতনতার বার্তা প্রদান। বার্তা, রোগকে প্রতিহত করুন, রোগীকে অবহেলা নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের করোনাকে কোলবালিশ করার বার্তায় দলীয় কর্মী কালী রূদ্র কার্যত নতুন মাত্রা যোগ করলেন করোনা পরিণয় সাঙ্গ করে।
করোনা আবহে, কোভিড রোগী বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সহমর্মিতার চোখে দেখা তো হচ্ছেই না, উল্টে তাঁদের ওপরে চলছে মানসিক নির্যাতন। সামাজিকভাবে করা হচ্ছে বয়কট। যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতা ফিরে এসেছে সর্বত্র। আর এই বর্বরতা থেকে মুক্তি পেতে দিকে দিকে সচেতনতা বাড়ানোর কর্মসূচি নেওয়া চলছে। আর এই আবহে সচেতনতার নতুন দিগন্ত খুলে দিলেন বারাসাতের কালী রূদ্র। তিনি বিয়ে করে ফেললেন করোনাকে।
লক্ষ্য, করোনা রোগীকে আতঙ্ক নয়, ঘৃণা নয়। বার্তা, রোগ থেকে সাবধান থাকতে হবে, কিন্তু করোনা রোগীর চিকিৎসার চিকিৎসার পাশাপাশি তাকে দেখতে হবে সহমর্মিতার চোখে। তাই রূপকধর্মী হলেও কালীরূদ্র প্রকাশ্যে হিন্দু ধর্মমতে ফুল,বেলপাতা এবং মালা সহযোগে মন্ত্রোচ্চারণ করে বিয়েটা সেরে নিলেন করোনা ভাইরাসের অবয়বকে।সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে বারাসতের বনমালীপুরে বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বহু নারী পুরুষ। কালী রুদ্রের বার্তা প্রভাবিত করেছে এলাকাকে। কালীরুদ্রের মতে, এই বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র।