সংক্ষিপ্ত

  •  আলোচনার মাধ্য়েম মসজিদ জট কাটতে চলেছে
  •  আবার সেখানে শুরু হতে পারে রানওয়ে বড় করার কাজ
  •  আগে সেখানে মসজিদের কারণে আটকে গিয়েছিল রাস্তা
  •  মসজিদ সরলে দ্বিতীয় রানওয়ে বাড়ানোর কাজ সম্ভব হবে

অবশেষে আশার আলো। আলোচনার মাধ্য়েম জট কাটতে চলেছে কলকাতা বিমানবন্দরের। আবার সেখানে শুরু হতে পারে রানওয়ে বড় করার কাজ। আগে সেখানে মসজিদের কারণে আটকে গিয়েছিল রাস্তা। আপাতত মসজিদ সরলে দ্বিতীয় রানওয়ে বাড়ানোর কাজ সম্ভব হবে।

রাজ্য়ের বিমানবন্দরের অতীত বলছে, ১৯২৪ সালে চালু হয় কলকাতা বিমানবন্দর ৷ পরবর্তীকালে বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয় ৷ সেই সময় যশোর রোডের মসজিদ ঢুকে যায় বিমাবন্দরের মধ্যে। যার ফলে দ্বিতীয় রানওয়ে আর বড় করা যায়নি। এখন সময় বদলেছে, আলোচনায় বসতে রাজি মসজিদ কমিটি। ইতিমধ্য়েই তিন ইসলামিক সংগঠন- জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ, দারুল উলুম দেওবন্দ ও মুসলিম ল বোর্ডকেও চিঠি দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। মসজিদ অন্য়ত্র সরাতে বলা হয়েছে বোর্ডকে।

বর্তমানে কেরলের কোঝিকোড়ে বিমান দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর। রানওয়ে নিয়ে চিন্তায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ। দমদম বিমানবন্দরের চিন্তা বাড়িয়েছে দ্বিতীয় রানওয়ের মুখে থাকা মসজিদ। অতীতেও যা নিয়ে রাজ্য় সরকারের কাছে আপত্তি তুলেছিল কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। 

গত ৭ অগস্ট  রানওয়েতে বিমান দাঁড় করাতে না পেরে দুর্ঘটনার মুখে পরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। একেবারে দু'টুকরো হয়ে যায় বিমানের বডি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই পাইলট-সহ ১৯ জন যাত্রীর। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে দেশের বিমানবন্দর রানওয়ে নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্য়েই কলকাতা বিমানবন্দররে সঙ্গে এই বিষয়ে কতা বলেছে তারা। 

মূলত, কলকাতা বিমানবন্দরের দ্বিতীয় রানওয়ের মুখে একটি মসজিদ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এয়ারপোর্ট সেফটি রুল অনুসারে 'রানওয়ে অ্য়ান্ড সেফটি এরিয়া'য় বেশকিছু বিধিনিষেধ থাকা উচিত। নিয়ম অনুসারে প্রতিটি রানওয়ে শেষ হওয়ার পর কমপক্ষে ৯০ মিটার অতিরিক্ত জায়গা থাকা উচিত। এমনকী যে রানওয়েতে বড় বিমান ওঠানামা করে সেখানে ২৪০ মিটার জায়গা থাকার নিয়ম। কিন্তু বিরাটির দিকে কলকাতা বিমানবন্দরের পরে অতিরিক্ত জায়গা রয়েছে ১৬০ মিটার। যা বড় বিমান ওঠানামার জন্য় জন্য় যথেষ্ট নয়। কারণ দ্বিতীয় রানওয়ের মুখেই রয়েছে একটি মসজিদ।

সূত্রের খবর, এ বিষয়ে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আগেই রাজ্য়ের মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেন। রানওয়েতে সাবধানতা অবলম্বনের ক্ষেত্রেও পরিকল্পনার কথা বলা হয় রাজ্য়কে। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। মাঝে লকডাউন পড়ে যাওয়ায় আর কাজ এগোয়নি। নতুন করে এ বিষয়ে রাজ্য় সরকারের সঙ্গে এয়ারপোর্ট অথরিটি কথা বলবে বলে খবর।