সংক্ষিপ্ত

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিগন্যাল থাকায় গাড়িগুলি দাঁড়িয়ে ছিল। ঠিক সেই সময় আচমকা বেপরোয়া গতিতে ছুটে মিনিবাসটি। এরপর ওই সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা বাইক ও ট্যাক্সিতে ধাক্কা মারে।

মঙ্গলবার (Tuesday) ভর সন্ধেবেলায় (Evening) ফের দুর্ঘটনা (Accident) শহরে। মেয়ো রোডে (Mayo Road) একটি মিনিবাসের (Mini Bus) বেপরোয়া গতির জেরে দুর্ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক বাইক ও ট্যাক্সিকে (Bike and Taxi) ধাক্কা মারে বাসটি। সন্তোষপুর (Santoshpur) থেকে বিবাদী বাগ যাচ্ছিল বাসটি। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিগন্যাল (Signal) থাকায় গাড়িগুলি দাঁড়িয়ে ছিল। ঠিক সেই সময় আচমকা বেপরোয়া গতিতে ছুটে মিনিবাসটি। এরপর ওই সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা বাইক ও ট্যাক্সিতে ধাক্কা মারে। আহত হন বাইক আরোহীরা। ধাক্কার তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার জেরে একটি ট্যাক্সি দুমড়ে যায়। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ (Police)। এরপর জখম থেকে ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা। 

আরও পড়ুন- 'মাঝে মধ্যে দিলীপ-সুকান্তর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলি', রাজ্যপালকে কটাক্ষ পার্থর

আরও পড়ুন- সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে চান রাজ্যপাল, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হল না আজ

তবে কলকাতার রাস্তায় মিনিবাসের বেপরোয়া গতি নতুন কিছু নয়। জুলাই মাসেই মিনিবাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান এক পুলিশ কর্মী। ওই ঘটনায় আহত হন অন্তত ১৫ জন। ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। বাসের গতি এতটাই বেশি ছিল যে সাউথ গেটের পাঁচিল ভেঙে ঢুকে যায় সেটি। বাসের সামনে ছিলেন ওই বাইক আরোহী। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার সময় বাসে প্রায় ৪০জন যাত্রী ছিলেন। দ্রুত গতিতে ছুটছিল বাসটি। গতি এতটাই বেশি ছিল যে পাঁচিলে ধাক্কা মেরে সেটি ঢুকে গিয়েছিলেন। আর দুমড়ে গিয়েছিল বাসের সামনের অংশ। আর এই দুর্ঘটনার কয়েক মাস যেতে না যেতেই ফের মিনিবাসের বেপরোয়া গতির জেরে জখম একাধিক। মানুষের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন- মিহিদানা খেয়ে অসুস্থ শিশু সহ ৪০-এর বেশি জন, আতঙ্কে গ্রামবাসীরা

এদিকে চিংড়িঘাটা এলাকায় দুর্ঘটনা প্রায় লেগেই থাকে। তা নিয়ে কয়েকদিন আগেই কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর পুলিশকে ধমক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খাওয়ার পরই তড়িঘড়ি চিংড়িঘাটা পরিদর্শনে যান বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার (Commissioner of Bidhannagar City Police) সুপ্রতিম সরকার (Supratim Sarkar), রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য সহ একাধিক আধিকারিক। চিড়িঘাটায় দুর্ঘটনার মূল কারণ হল বেপরোয়া গতি। এ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, "পরপর কতগুলো অ্যাক্সিডেন্ট দেখলাম, যেগুলি হওয়ার নয়। সমস্যা কমাতে ওখানে একটা ছোট ফুট ওভারব্রিজ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, সবার আগে বিধাননগর আর কলকাতা পুলিশ বসে নিজেদের সমস্যা মেটাবেন।" তারপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। দুর্ঘটনা রুখতে নেওয়া হয়েছে একাধিক সিদ্ধান্ত। 

YouTube video player