সংক্ষিপ্ত

  • গরম থেকে কিছুদিনের রেহাই পেলেও  আবার জাকিয়ে বসেছে তাপপ্রবাহ
  • বিগত কয়েকদিনে তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমেছিল
  • ফলে হাঁপ ছেড়ে বসেছিল বাংলার মানুষ
  • কিন্তু ফের তাপপ্রবাহের কোপ পড়েছে বাঙালির উপরে

গরম থেকে কিছুদিনের রেহাই পেলেও আ আবার জাকিয়ে বসেছে তাপপ্রবাহ। বিগত কয়েকদিনে তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমেছিল। ফলে হাঁপ ছেড়ে বসেছিল বাংলার মানুষ। কিন্তু ফের তাপপ্রবাহের কোপ পড়েছে বাঙালির উপরে। আর এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে এখনই রেহাই পাবে না মানুষ।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বাতাসে যথেষ্ট পরিমাণে আর্দ্রতা থাকবে। ফলে একই রকম অস্বস্তিও বজায় থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলা যেমন পুরুলিয়া,পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানে প্রবল তাপপ্রবাহ চলবে। ফলে উপকূলীয় জেলাগুলিতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি থাকবে। এখনই বাংলায় বর্ষা ঢুকছে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস। 

আরব সাগরের উপরে ঘূর্ণিঝড় ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তি বাড়িয়ে ১৩ জুন‌ সকালে গুজরাট উপকূল অতিক্রম করবে। যতক্ষণ না এই ঝড় গুজরাট উপকূল অতিক্রম করছে ততক্ষণ কোনও ভাবেই বাংলায় বর্ষা ঢুকতে পারবে না। কারণ এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরেই বঙ্গোপসাগরে কোনও সিস্টেম তৈরি হচ্ছে না। আর তাই বর্ষা ঢুকতে পারছে না বাংলায়। তাই সারা জুন মাসেই বর্ষার ঘাটতি থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টি হবে বলে জানা গিয়েছে। 

প্রসঙ্গত, আবহবিদরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহ চলার সম্ভাবনা রয়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকু়ড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় তারপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতি আগামী তিন দিন চলবে জানিয়েছেন আবহবিদরা। কেরলে বর্ষা ঢুকেছে গত শনিবার। কিন্তু বাংলায় শেষ পর্যন্ত কবে বর্ষা ঢুকবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না নিশ্চিত করে।