সংক্ষিপ্ত
- গুরুতর অসুস্থ মুকুল পত্নী কৃষ্ণা রায়
- চেন্নাই রওনা দিয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
- গঠন করা হয়েছে মেডিক্যাল বৌর্ড
- ফুসফুস প্রতিস্থাপন নিয়ে আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
বৃহস্পতিবার মুকুল পত্নী কৃষ্ণা রায়কে নিয়ে চেন্নাই রওনা দিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। উল্লেখ্য করোনায় আক্রান্ত হয়ে বহুদিন ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। কিন্তু শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হওয়ায় ফুসফুস প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় চিকিৎসকেরা। বুধবারই তাঁকে চেন্নাই নিয়ে যাবার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য গতকাল যাত্রা স্থগিত রাখা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি হতেই কৃষ্ণা রায়কে নিয়ে চেন্নাই রওনা দিয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
আরও পড়ুন, 'রাজ্যপাল সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করছেন', বিস্ফোরক বিমানও
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্রিন করিডর করে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স রওনা দেয় কলকাতা বিমানবন্দর। সকাল ৭ টা ৫০ মিনিট নাগাদ বিমানবন্দরে পৌছয় সেই অ্যাম্বুলেন্স। মুকুল রায়ের স্ত্রীকে নিয়ে ৮ টা ২১ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা দেয় চেন্নাই। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মুকুল পত্নী কৃষ্ণা রায়ের সঙ্গে রয়েছেন চিকিৎসক মেডিক্যাল বোর্ডের ৭ সদস্য। রয়েছেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। প্রসঙ্গত, গত মাসেই মুকুল রায়ের শরীরে কোভিডের উপসর্গ ধরা পড়ে। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৪ মে জানা যায় যে সস্ত্রীক মুকুল রায় করোনা আক্রান্ত। বর্তমানে তৃণমূল নেতা -চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। তবে মুকুল রায়ের শারীরিক অবস্থা মোটেও ভালো ছিল না। মুকুল পত্নী কৃষ্ণা রায়ের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হওয়ায় তাঁকে একমো সাপোর্টে রাখা হয়। ফুসফুস প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সেই অনুযায়ী অঙ্গদাতার খোঁজ চলছিল। অঙ্গদাতার খোঁজ মিলতেই কৃষ্ণা রায়কে চেন্নাই নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, RMD তুললে অথৈ জলে পড়বে রাজ্যের ২ রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান, মমতাকে চিঠি বাংলাপক্ষের
মূলত রাজ্যের কোনও হাসপাতালেই ফুসফুস প্রতিস্থাপনের পরিকাঠামো না থাকায় কৃষ্ণা রায়কে চেন্নাইয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেখানেই মুকুল পত্নীর ফুসফুস প্রতিস্থাপন হওয়ার কথা। এদিনই চেন্নাই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এ বিষয়ে চূড়ান্ত নেবেন। শেষ অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, মুকুল রায়ের স্ত্রী পৌছে গিয়েছেন চেন্নাইয়ের হাসপাতালে। গঠন করা হয়েছে মেডিক্যাল বৌর্ড। তারাই পুরোবিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।