সংক্ষিপ্ত
- বাটার ফ্লাই গার্ডেনের স্বপ্ন বোধয় অমোঘ আকর্ষণ
- কেই বা বোঝে কলকাতার সেই কচিকাচাদের কথা
- বোঝে শুধু ইকোপার্ক,তাই এবার নিয়ম মেনে খুলল
- থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষা হচ্ছে, রয়েছে স্যানিটাইজারও
করোনা মহামারির জেরে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় বেশিরভাগ দর্শনীয় স্থান তথা পার্ক বন্ধ ছিল। দীর্ঘ সাত-আট মাস যেমন পরিবার সহ ঘুরতে পারেনি অনেকেই। আবার ধেড়ে প্রেমিকের দল টাকা বেঁচে যাওয়ায় বত্রিশ পাটি বার করেছে। তবে সদ্য গোঁফ ওঠা কিশোর পেরিয়ে যুবকরা এবার ধুকপুক বুকে গার্লফ্রেন্ডের হাত ধরে বিশ্ব-ভ্রমণ করবে ইকোপার্কেই। কারণ এবার খুলে গিয়েছে ইকোপার্ক।
আরও পড়ুন, পুজোর আগে মানবিক মমতা, বিজেপির বলবিন্দরের স্ত্রীকে ন্যায় বিচারের আশ্বাস-পোশাক উপহার
শুধু টিকিট নয়, থার্মাল গানে পাশ করলেই ভিতরে প্রবেশ
বাটার ফ্লাই গার্ডেনে যাওয়ার স্বপ্ন বোধয় পুজোর জামা-কাপড়ের থেকে বেশি, কেই বা বোঝে কলকাতার সেই কচিকাচাদের কথা। বোঝে শুধু ইকোপার্ক। তাই দীর্ঘ অপেক্ষা শেষ এবার। প্রায় দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ থাকার পর খুলল নিউটাউনের ইকো পার্ক, সমস্ত সরকারি নিয়ম বিধি মেনেই খোলা হয়েছে এই পার্কটি। খোলার আগে সমগ্র পার্ক স্যানিটাইজার করা হয়। এই পার্কে ঢোকার আগে, থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে, স্যানিটাইজার দিয়ে হাত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে, এবং স্ক্যানিং এর মাধ্যমে টিকিট দিয়ে ঢুকতে হচ্ছে এই ইকো পার্কে। তবে বহু দিন বন্ধ থাকার জন্য এখনও এই পার্কে খোলা হয়েছে। তা কিন্তু প্রচারের আলোয় সেই ভাবে আসতে পারেনি। তাই প্রথম দিনে টিকিট বিক্রির সংখ্যা একেবারে নগন্য বলাই চলে।
আরও পড়ুন, পুজো এগিয়ে আসতেই লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, করোনায় ফের শীর্ষে কলকাতা
ফ্রেশ এয়ার নেওয়ার অছিলায় মাস্ক সরালেই সমূহ বিপদ
তবে পার্কের কর্মীরা সম্পূর্ণভাবে আশাবাদী এই সংখ্যা খুব দ্রুততার সঙ্গে বেড়ে যাবে এবং তাদের আগের অবস্থায় ফিরে যেতে খুব একটা কষ্ট করতে হবে বলে মনে হয় না। একে সামনে পুজো। তার জন্য চলছে দেদার শপিং। শপিং করতে গিয়ে চলছে পেট-পুরে খাওয়া-দাওয়া গল্প। ভোজনরসিক বাঙালি মাঝেমাঝে মাস্ক সরিয়ে সেলফি তুলতে ব্য়স্ত। তবে ফ্রেশ এয়ার নেওয়ার অছিলায় মাস্ক সরালেই সমূহ বিপদ।