সংক্ষিপ্ত

বুধবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংদ ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেছিলেন, তৃণমূল ও প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক এক নয়। উভয়ের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট পার্থক্য রয়েছে। 

তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) আই-প্যাকের (I-Pac) কোনও মতবিরোধ নেই। নেই কোনও ফাটলও। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে এই কথা জানান হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দলটি প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাকএর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। আগামী দিনেই তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে বলেও জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস ও আই-প্যাকের মধ্যে মতপার্থক্য বা কাজের সম্পর্ক নিয়ে কোনও সমস্যা নিয়ে যে কথাবার্তা বলা হচ্ছে তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। 

বুধবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংদ ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেছিলেন, তৃণমূল ও প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক এক নয়। উভয়ের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট পার্থক্য রয়েছে। রাজ্যসভার সাংসদের এই মন্তব্যের পরই তৃণমূলের সঙ্গে আই-প্যাকের সম্পর্কের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট রেখা আঁকার চেষ্টা করা হয়েছিল। রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক আরও বলেছিলেন, আই-প্যাকের সরবরাহ করা তথ্যের কিছু অংশ নিয়েই তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক ঘুঁটি সাজায়।  কিন্তু আই-প্যাকের কোনও মতামত দলের মধ্যে প্রতিফলিত হয় না। ডেরেকের এই মন্তব্যের পরই তৃণমূল ও প্রশান্ত কিশোরের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অনেকেই তৃণমূল ও আই-প্যাকের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন। তারপরই তড়িঘড়ি ড্যামজ কন্ট্রোলে নেমে পড়ে তৃণমূল। দলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ তৃণমূল হল প্রথম রাজনৈতিক দল যারা আগামী ৫ বছরের জন্য আই-প্যাকের সঙ্গে চুক্তি করেছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে এই চুক্তি হয়েছে। গত বিধনসভা নির্বাচনের আগেই প্রশান্ত কিশোরকে ভোট কুশলী হিসেবে নিয়োগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরেই বিধানসভায় বড় সাফল্য পায় তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করে ঘাসফুল। 

এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের এই টুইট জল্পনার অবসান ঘটায়। তবে তৃণমূল সূত্রের খবর দলের একাংশ প্রশান্ত কিশোরের এই বাড়বাড়ন্তে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য নন। কারণ সম্প্রতী মেঘালয়ের মুকুল সাংমা ও গোয়ার লুইজিনহো ফালেইরো বলেছেন তাঁরা প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাতেই তৃণমূলের অন্দরে প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ আরও বাড়তে থাকে। 

তবে সম্প্রতী প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে চাইছেন। সেইমত প্রশান্ত কিশোরও জাতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলছেন। পাল্টা কংগ্রেসকেও নিশানা করছেন প্রশান্ত কিশোর। কংগ্রেসের বদল তৃণমূল কংগ্রেস যে বিজেপি বিরোধী মুখ তাও তিনি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। 

ওমিক্রন রুখতে কাপড়ের মাস্ক কতটা কার্যকর, সতর্ক করে কী বললেন বিশেষজ্ঞরা

CRPF women commandos: অমিত শাহ থেকে গান্ধী পরিবার, নিরাপত্তার দায়িত্বে মহিলা কমান্ডোরা

Ludhiana Court Blast: শৌচাগারে বোমা বাঁধতে গিয়েই কি আইইডি বিস্ফোরণ, লুধিয়ানা কোর্টেকাণ্ডে তদন্ত চলছে