সংক্ষিপ্ত

সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় এমনটাই বললেন কলকাতা পুরসভার মেয়র কথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম। তিনি আরও বলেন বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তিনি। কিন্তু কেশপুর, নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর গিয়েছিলেন।

'তদন্তে ভয় নেই। আদালতের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। সেই জন্যই আমরা কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা সর্বদাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। তবে আমাদের সকলেরই সামাজিক সম্মান রয়েছে। সেটা হারানোর ভয় রয়েছে। আদালতের বিরুদ্ধে গিয়ে রাস্তা নেবে সিপিএমের মত আন্দোলন করতে পারব না। তাই আদালতের কাছেই গিয়েছি।'  সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় এমনটাই বললেন কলকাতা পুরসভার মেয়র কথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম। তিনি আরও বলেন বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তিনি। কিন্তু কেশপুর, নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর গিয়েছিলেন। ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন। গুলির সামনে দাঁড়িয়েছেন। জেলে থাকতে তাঁর কোনও ভয় নেই। কিন্তু সামজিক সম্মান হারাতে চান না। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেও আরও একবার জানালেন ফিরহাদ হাকিম। 

ফিরহাদ আরও বলেন জীবন হাতে নিতে তিনি লড়াই করেছেন। তিনি মৃত্যুকে ভয় পান না। জেলে যেতেও তাঁর ভয় নেই। কিন্তু সামাজিক সম্মান তিনি হারাতে চান না। ফিরহাদের কথায় সামাজিক সম্মান  হারালে বা হেনস্থা হলে তার প্রভাব পড়ে পরিবারের সদস্যদের ওপর। আর সেই কারণেই তিনি সন্ত্রস্ত।  তিনি আরও বলেন তিনি ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস একাধিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন। কিন্তু বিরোধীরা ঠিক করে দিতে পারে না কার জন্য ঘাসফুল শিবির রাস্তায় নামবে আর রাস্তায় নামবে না। অনুব্রত মণ্ডল ইস্যুতে তিনি বলেন এখনও এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি শেষ সিদ্ধান্ত নেবে। 

একই সঙ্গে বিরোধীরা তাঁর দলের নেতা নেত্রীদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত কুৎসা ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ফিরহাদ হাকিম। এপ্রসঙ্গে দলীয় কর্মীদের কাছে ধৈর্যধরে অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আগামী দিনে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ কলকাতা পুরসভার মেয়র। তিনি আরও বলেন বিরোধীরা দলের সব নেতাদের নিশানা করতে শুরু করেছে। এটা ঠিক নয় বলেও জানান তিনি।

এদিন রাজ্যে কোভিড ১৯ সংক্রমণ বাড়ার প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন তিনি। বলেছেন, করোনা একটা কনস্ট্যান্ট রয়েছে ১৫০ ঘরের আসেপাশে ঘুরছে। মানুষ একটু সচেতন হয়ে বুস্টার ডোজ নিলে করোনা হবে না।  সাধারণ মানুষকে দ্রুত বুস্টার ডোজ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বুস্টার নিলে করোনা সংক্রমণ এড়ানো যাবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। বিপজ্জনক বাড়ি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,  যেসব বাড়ি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে সেটা জানালে কলকাতা পৌর সংস্থার পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র। আবাসিকদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

কে এই হাদি মার্তার? সলমন রুশদির হামলার কারণও জানাল পুলিশ

পুরসভার দুষিত জল পান করে মহিলার মৃত্যু? অভিযোগ উঠল নদিয়ার কৃষ্ণনগরে
মোদীর 'হার ঘর তেরঙ্গার' পাল্টা মমতার 'মাই আইডিয়া ফর ইন্ডিয়া', ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের আগে ডিজিটাল 'যুদ্ধ'