সংক্ষিপ্ত

  • কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে শুরু একাধিক বিতর্ক 
  • রাজ্যের পাঠানো প্রস্তাবকে প্রয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ 
  • 'মাধ্যমিককে গুরুত্বহীন করা হচ্ছে' অভিযোগ  অভীকের 
  • 'কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি সমস্যা তৈরি করবে' অভিযোগ যাদবপুর উপচার্যের 

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নয়া শিক্ষানীতি প্রকাশ করার পরপরই শুরু হল একাধিক বিতর্ক। এরাজ্যে নিরিখে সরব হলেন রাজ্যের শিক্ষাবিদ তথা সরকারি আধিকারিক কেন্দ্রের তরফে নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে। রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের শিক্ষানীতি নিয়ে যা যা সুপারিশ বা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা কোন অংশই বাস্তবে প্রয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ করেন সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। 

আরও পড়ুন, 'ছোড়দা'কে ভূলতে পারেননি 'দিদি', আরোগ্য কামনায় হাসপাতালেও পৌঁছে ছিল ফুল

গত ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কেন্দ্রের প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্যের কি মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যের পাশাপাশি এ রাজ্যের তরফেও মতামত নেওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন শিক্ষাবিদ উপাচার্য  স্কুল শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা, এই দুটি ক্ষেত্র নিয়ে মতামত পাঠানো হয়। কেন্দ্রের তরফে জারি করা নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্য যে সুপারিশগুলি দিয়েছিল দেখা যাচ্ছে সেগুলি কেন্দ্রের তরফে জারি করা নয়া শিক্ষানীতিতে শোনাই হয়নি। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ  একসঙ্গে করে দেওয়াতে পরিকাঠামো দিক থেকে কিভাবে তা সম্ভব তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাজ্যে অনেক স্কুলে মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা নীতির ক্ষেত্রে তাহলে সেই স্কুলগুলিতে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করতে হবে। তার জন্য বিপুল পরিমাণ পরিকাঠামো ও টাকা দরকার । রাজ্যের যেখানে এই পরিস্থিতিতে এত বিপুল পরিমাণ দেনা রয়েছে সেখানে এত টাকা জোগাড় করা কিভাবে সম্ভব হবে। নয়া শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা গুরুত্বহীন করে দেওয়া হচ্ছে।  এর জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবগুলো শোনা হল না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন, চলে গেলেন 'ছোড়দা', প্রয়াত সোমেন মিত্রের শেষযাত্রার সূচি ঘোষণা করল কংগ্রেস


অপরদিকে, কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির স্কুল স্তরের বদল নিয়ে  সরব হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি জানিয়েছেন,  উচ্চ শিক্ষা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতিতে যা বলা হয়েছে তাতে অনেক এখনও পর্যন্ত ধোঁয়াশা রয়েছে। কবে থেকে এই শিক্ষানীতি চালু হবে কবে তা আইন হিসেবে কার্যকর করা হবে সেটা জানানো হয়নি। নয়া শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে তিন বছরেও অনার্স কোর্স শেষ করা সম্ভব, আবার চার বছরেও অনার্স কোর্স শেষ করা সম্ভব। ফলত এক একটি বিশ্ববিদ্যালয় যদি এক ধরনের নিয়ম চালু করে তাহলে তা ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে এই সমস্যার জায়গা তৈরি করবে।  রাজ্যে তরফে যে যে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি নিয়ে তা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।