সংক্ষিপ্ত

 সাপ্লিমেন্টারি আউটস্ট্যান্ডিং বিল, লেটার অফ ইনডেন্ট, পিরিওডিক ডিমান্ডস আলাদা আলাদা যেত সম্পত্তির মালিকদের কাছে। একটি বিল মেটালে অনেকেই ভাবত এই বুঝি করের পুরো টাকা মেটানো হয়ে গিয়েছে। 

কলকাতা পুরনিগম এলাকার অধীনে থাকা সম্পত্তির মালিকদের কাছে এতদিন তিন দফায় আলাদা আলাদা করে তিনটি পৃথক সম্পত্তি করের বিল যেত। এর জেরে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হত নাগরিকদের মনে। কোনটা কিসের বিল তাঁরা বুঝতেই পারতেন না। এমনকী, এই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে খোদ পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেও। আর তারপরই এই বিভ্রান্তি দূর করতে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পুরনিগমের তরফে। শনিবার মেয়র জানান, এখন থেকে আর তিনটি আলাদা আলাদা বিল যাবে না, তিনটি বিষয়কে একসঙ্গে নিয়ে একটি মাত্র বিলই পাঠানো হবে। ১ মার্চ থেকে একসঙ্গেই যাবে সম্পত্তি করের বিল। 

এর আগে সাপ্লিমেন্টারি আউটস্ট্যান্ডিং বিল, লেটার অফ ইনডেন্ট, পিরিওডিক ডিমান্ডস আলাদা আলাদা যেত সম্পত্তির মালিকদের কাছে। একটি বিল মেটালে অনেকেই ভাবত এই বুঝি করের পুরো টাকা মেটানো হয়ে গিয়েছে। তবে বিলের অন্য ভাগ গেলে আবার দেখা যেত যে কর এখনও বকেয়া। এতে বিভ্রান্ত হতেন সাধারণ নাগরিক। এই পরিস্থিতি সমাধানে মেয়র বলেন, "করদাতাদের সুবিধার জন্য সম্পত্তিকর সরলীকরণের এই নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পৃথক দিনে, আলাদা নোটিশ পেয়ে করদাতারা বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। মেয়র হয়েও আমি আলাদা নোটিশের মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝতাম না। করদাতাদের হয়রানির কথা ভেবে কমিশনারকে একটি মাত্র নোটিশ ও বিল তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলাম। তা কার্যকর হচ্ছে। নাগরিকরা সুবিধামতো কর জমা দিতে পারবেন। সম্পত্তি করের বিলে সরলীকরণ করা হবে। একটি বিল তৈরি করে নাগরিকদের বাড়িতে তা পাঠানো হবে মার্চ মাস থেকে।"

আরও পড়ুন- 'শুভেন্দু বেশিদিন বিজেপি-তে থাকবে না', দলবদলের জল্পনা উস্কে দিলেন ফিরহাদ

মহানগরের সম্পত্তিকরের নোটিস সংশোধনের পাশাপাশি পুরসভার আইন বিভাগের যাবতীয় খোলনলচে বদলে সমস্ত নথিকে ডিজিটাল করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। বলেছেন, "পুরসভার হয়ে এবার থেকে যিনি আদালতে মামলা লড়বেন সেই আইনজীবী যেন অবশ্যই বিভাগীয় অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে নথিপত্র নিয়ে প্রস্তুত হয়ে সওয়ালে অংশ নেন। মামলা হলেই সংশ্লিষ্ট সমস্ত অফিসারকে মেসেজ পাঠাতে হবে। মামলার তারিখ ও বিষয় বিস্তারিত জানিয়ে সজাগ করতে হবে আইন বিভাগ ছাড়াও দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষকর্তাদেরও। বাদী ও বিবাদী, উভয়পক্ষের আইনজীবীর তথ্য পুরসভার কাছে রাখতে হবে।"

আরও পড়ুন- শোভন-শুভেন্দুকে আজও খুবই মিস করেন, নস্টালজিয়ায় ভেসে জানালেন ফিরহাদ

আইনবিভাগের সব নথি ও ছ’মাসের পুরনো সমস্ত মামলার তথ্য ডিজিটাল করারও নির্দেশ দেন ফিরহাদ। প্রয়োজন হলে স্বয়ং মেয়র নিজের টেবিলের কম্পিউটারে বসে যে কোনও মামলার খুঁটিনাটি তথ্য দেখে নেবেন।

আরও পড়ুন- 'সোনার বাংলা' গড়তে তৃণমূলের বহিষ্কৃতদের বিজেপিতে আহ্বান সৌমিত্রর