সংক্ষিপ্ত
- এবার দিদিকে বলোর পাল্টা বিজেপিকে বলো
- এমনই কর্মসূচি নিল বঙ্গ বিজেপির নেতারা
- পুরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত
- শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে একটি টোল ফ্রি নম্বর
এবার দিদিকে বলোর পাল্টা বিজেপিকে বলো কর্মসূচি নিল বঙ্গ বিজেপি। পুরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। মূলত, পুরসভার ভোটারদের অভিযোগের সমাধান করতে শীঘ্রই একটি টোল ফ্রি নম্বর দেওয়া হবে। যার মাধ্য়মেই মিলবে সুরাহা।
থমকালো পেট্রোলের দাম, মুখভার গাড়ি চালকদের
দরজায় কড়া নাড়ছে পুরসভা ভোট। শাসক দলকে মাত দিতে ও ভোটারদের সমস্যা জানতে চাইছে বঙ্গ বিজেপির নেতারা। টোল ফ্রি নম্বরের মাধ্য়মে জন সংযোগ কর্মসূচিতে জোর দিচ্ছেন তারা। শনিবার কলকাতায় আইসিসিআর অডিটোরিয়ামে দলের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতিদের নিয়ে একটি বৈঠক করে গেরুয়া শিবির। সেখানেই বিজেপিকে বলোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এবার কিডনিতেও ছড়াল সংক্রমণ, পোলবায় জখম ঋষভের অবস্থার আরও অবনতি
মূরলীধর স্ট্রিটে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, দলে মুকুলপন্থীদেরও জায়গা দেওয়া হচ্ছে এই বিজেপিকে বলোর কমিটিতে। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ ও অরবিন্দ মেনন ছাড়াও দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, নির্বাচনী ম্যানেজমেন্ট কমিটির আহ্বায়ক মুকুল রায়, দেবশ্রী চৌধুরীরা থাকছেন এই কমিটিতে। এই কমিটির মাধ্য়েই পুরভোটে এলাকাভিত্তিক সাংসদ বিধায়কদের দায়িত্ব ভাগ করা হবে।
মূলত, পুরেভোটের আগে স্থানীয় এলাকার দুর্নীতি সম্পর্কে এলাকার মানুষের থেকেই জানত চাইছে বিজেপি। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে বলে ধারণা গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি ব্রিগেডের ধারণা, দীর্ঘদিন ধরে যারা পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত, এমনিতেই তারা এলাকায় বিজেপির হয়ে কথা বলবে। ভোটের সময় এলাকায় এদেরকেই প্রচারে সামনে দাঁড় করানো যাবে। এতে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের পাশাপাশি বিজেপির সদস্য সংখ্যা বাড়বে।
তাপস সহ তিন মৃত্যুর জন্য দায়ী কেন্দ্র, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী
পুরভোটের আগে এই প্রক্রিয়ায় সাড়া মিলবে বলেই আশা বিজেপি নেতৃত্বের। ইতিমধ্য়েই রাজ্যের প্রতিটি পুরসভার জন্য আলাদা আলাদা ইস্তাহার প্রকাশের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তবে রাজ্যস্তরেও একটি ইস্তাহারও প্রকাশ করা হবে। আসন্ন পুরভোটের জন্য ৫৭ জনের কমিটি গঠন করেছে দল। ওই কমিটির নেতৃত্বে থাকছেন মুকুল রায়। তিনিই কমিটির আহ্বায়ক। মুকুলের ডেপুটি হয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং ও রীতেশ তিওয়ারি। শ্রীরামপুরের পুরভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রীতেশকে। কমিটিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ও বাবুল সুপ্রিয়। এর পাশাপাশি আছেন রাজ্যের ১৮ জন সাংসদ।