সংক্ষিপ্ত

  • রাজ্য়ে একদিনে কোয়ারানটাইনের সংখ্যা দেড় লক্ষ
  •  স্বাস্থ্য় দফতরের এই হিসেবে চিন্তা বাড়ছে রাজ্য়বাসীর
  •  গতকাল সংখ্যা ৫০ হাজারেই সীমাবদ্ধ ছিল
  •  কমাত্র একদিনেই সেই সংখ্যাটা দেড় লক্ষ ছাড়াল
     

রাজ্য়ে একদিনে হোম কোয়ারানটাইনের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল দেড় লক্ষ। স্বাস্থ্য় দফতর একে করোনা প্রতিরোধী বিষয় বললেও চিন্তা বাড়ছে রাজ্য়বাসীর। গতকাল সংখ্যা ৫০ হাজারেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু মাত্র একদিনেই সেই সংখ্যাটা দেড় লক্ষ ছাড়াল।

রেনকোটকাণ্ডে চিকিৎসককে তলব পুলিশের, ফেসবুক থেকে পোস্ট সরানোর নির্দেশ.

মুখ্য়মন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিদিন করোনা নিয়ে বুলেটিন প্রকাশ করছে স্বাস্থ্য় ভবন।  মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনের প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত চব্বিশ ঘন্টায় হোম সার্ভিলেন্স তথা গৃহ নজরে রাখা হয়েছে আরও ১,০৩,৩৯১ জনকে। অর্থাৎ একদিনেই সংখ্যাটা এক লাফে এক লক্ষ ছাড়াল। পরিসংখ্য়ান বলছে,  ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে ৮৭ জনকে। পাশাপাশি নাইসেড থেকে ৫২ জনের রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। যাদের মধ্যে ৫ জনের দেহে করোনা পজিটিভ নমুনা পাওয়া গিয়েছে। 

লকডাউনের বাজারে হু-হু করে বাড়ছে 'বাংলার' দাম, দ্বিগুণ দামে বিকোচ্ছে 'রাম'

এদিনই উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়া‌য় একজনের রিপোর্ট পজিটিভ ধরা পড়ছে। যার জেরে এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। বর্তমানে বাংলার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৩৮ জনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। হোন কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৮২ জনকে।

দিল্লির ধর্মীয় সভা থেকে বাংলায় ঢুকেছে একশোরও বেশি, করোনা আতঙ্কে খোঁজ শুরু রাজ্য়ের.
রাজ্য়ে আরও এক করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল। আক্রান্ত উত্তর ২৪ পরগণার বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে ভুগছিলেন। গত ২৩ মার্চ থেকে ভুগছিলেন তিনি। বেলঘড়িয়ার একটি বেসরকারি  হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আক্রান্ত। সেখানেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয় তাঁকে। পরে লালারস নুমুনা পাঠানো হয় বেলেঘাটার নাইসেডে। গতকালই সেই নমুনার রিপোর্ট হাতে পেয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রিপোর্টে করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে ওই ব্য়ক্তির।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। বেলঘড়িয়ার রথতলার ওই বাসিন্দাকে বেলঘড়িয়া আইডিতে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য় ভবনে রোগীর বিষয়ে ইতিমধ্য়েই খবর দেওয়া হয়েছে। খবর নেওয়া শুরু হয়েছে আক্রান্তের আত্মীয়দের। গত কিছুদিন কারা ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন খোঁজ নেওয়া হচ্ছেে তাঁর। এদিকে, সংক্রমণের কথা জানতে পেরে বেলঘড়িয়ার ওই জেনিথ হাসপাতালেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। 

আক্রান্ত বিদেশে বা ভিন রাজ্য়েও যায়নি বলে খবর পরিবার সূত্রে। যা নিয়ে চিন্তায় রাজ্য়ের স্বাস্থ্য় দফতর। ৫৭ বছরের ওই ব্যক্তির কোনও বাইরের যোগ না পাওয়ায় তিনি কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কিনা তা দেখা হচ্ছে।  রাজ্য়ে ইতিমধ্য়েই করোনা আক্রান্ত নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। যা চাপে রেখেছে  স্বাস্থ্য় দফতরকে।