সংক্ষিপ্ত
- অতীতের বক্তব্য় থেকে একেবারে উল্টো পথে
- আগে বলেছিলেন, দিল্লির হিংসা ঢাকতেই করোনা
- এখন করোনার জন্য ২০০ কোটির ফান্ড
- মমতার সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন বিরোধীরা
অতীতের বক্তব্য় থেকে একেবারে উল্টো পথে। আগে বলেছিলেন, দিল্লির হিংসা থেকে নজর ঘোরাতেই করোনা ভাইরাসের কথা বলা হচ্ছে। সোমবার রাজ্য়ে করোনা মোকাবিলায় ২০০ কোটির তহবিল গড়ার ঘোষণা করলেন সেই মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের প্রশ্ন, তবে কি রাজ্নীতি করতে গিয়ে দ্বিচারিতা করছেন মমতা।
করোনার চিকিৎসা এড়িয়ে পালালে গ্রেফতার, রাজ্য়ে জারি মহামারী আইন
দিল্লির হিংসার ঘটনা ধামাচাপা দিতে করোনা ভাইরাসের কথা বলা হচ্ছে। অনেকে করোনা করোনা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে। এটা একটা রোগ বটে, কিন্তু এখনই এ নিয়ে ঘাবড়়াবার কিছু নেই। সম্প্রতি বুনিয়াদপুরের সভায় এই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। রাজ্য় রাজ্নৈতিক মহলের মতে, নাম না করে আসলে মোদীকেই করোনা নিয়ে নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির হিংসা থেকে নজর ঘোরাতেই এত করোনা নিয়ে কথা হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন মমতা।
জানালা খোলা রাখলে ভাইরাস বেরিয়ে যাবে, করোনা রুখতে দিদির নিদান
বুনিয়াদপুরে সংবাদমাধ্য়মের সমালোচনা করে মমতা বলেন, আমরা চাই ওষুধ বের হোক৷ কিন্তু যাঁরা দিল্লিতে মারা গিয়েছেন তাদের কারও করোনা বা বিজেপির ডেঙ্গু হয়নি৷ করোনার মতো মারণ রোগে মারা গেলে সান্তনা দেওয়ার থাকত৷ কিন্তু এরা সুস্থ মানুষগুলোকে জ্যান্ত মেরে দিল৷ তৃণমূলনেত্রীর এই বক্তব্য়ের একদিন আগেই টুইটারে করোনা নিয়ে মন্তব্য় করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী।
করোনায় আক্রান্ত গ্রাহক, আতঙ্কে বিছানা বয়কটে নিষিদ্ধপল্লীর মেয়েরা
টুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, নোভেল করোনাভাইরাসের কারণে এই বছর তিনি কোনওরকম দোলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। পৃথিবীজুড়ে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন-একসঙ্গে যাতে বহু সংখ্যক মানুষ দোলের অনুষ্ঠানে যোগ না দেন। এতে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা থাকবে। তাই দোলে অংশ নেবেন না তিনি। রাজ্য় রাজনৈতিক মহলের মতে, সংবাদ মাধ্য়মের ঘারে বন্দুক রেখে আসলে মোদীকে টার্গেট করেছিলেন মমতা।
কিন্তু দেশজুড়ে করোনা আতঙ্কের জেরে এখন ঢোক গিলতে হচ্ছে তাঁকেও। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে সোমবারই করোনা মোকাবিলায় ২০০ কোটি টাকার তহবিলের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে করোনা নিয়ে বৈঠকের পর রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ১০ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে স্বাস্থ্যবিমা করার সুযোগ দেবে রাজ্য সরকার। এছাড়াও এই তহবিলের অর্থে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ২ লক্ষ সংক্রমণ নিরোধক পোশাক, ২ লক্ষ এন৯৫ মাস্ক, ৩০০ ভেন্টিলেশন কেনার বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
করোনার জেরে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুলের ছুটি বাড়ানোর কথা বলেন মুখ্য়মন্ত্রী। করোনা ভাইারাস থেকে বাঁচতে বন্ধ থাকবে আইসিডিএস সেন্টার, সিনেমা হল, শুটিংও। মুখ্য়মন্ত্রী যাবতীয় রিয়েলিটি শো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। মমতার এই উদ্য়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও সুযোগ বুঝে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি। মেদিনীপুরের সাংসদ বলেছেন,মোদীজি তো আগেই এই নিয়ে সতর্ক হতে বলেছিলেন। যাই হোক দেরি হলেও উনি ঠিক পথে হাঁটছেন।