সংক্ষিপ্ত
- মুকুল রায় সিঙ্গুর বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন
- তাঁর দাবি ছিল সিঙ্গুরে ভুল হয়েছিল তৃণমূলের তরফে
- সন্দেশখালির ঘটনায় কেন্দ্রের ভূমিকাকে ভর্ৎসনা করছে রাজ্য
- মুকুল রায়কে একহাত নিলেন তৃণমূল মহাসচিব
সন্দেশখালির ঘটনার ফের উত্তাল রাজ্য। ভোট পরবর্তী হিংসায় তিনটি মৃত্যুতে ফের রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে বসিরহাট তথা বাংলা। চলছে একে অন্যের ওপর দোষারোপ। এর মধ্যেই তৃণমূলের মহাসচিব বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাঠানো অ্যাডভাইজারি নোট 'অসাংবিধানিক' এবং 'অগণতান্ত্রিক'। একই সঙ্গে বিঁধলেন মুকুল রায়কে।
শনিবারই দিল্লিতে দার্জিলিং পুরসভার কাউন্সিলারদের বিজেপিতে যোগদানের প্রক্রিয়া চলারকালে মুকুল রায় সিঙ্গুর বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তাঁর দাবি ছিল সিঙ্গুরে ভুল হয়েছিল তৃণমূলের তরফে।
তার পরের চব্বিশ ঘণ্টায় উত্তাল হয়েছে রাজ্যের পরিস্থিতি। সন্দেশখালিতে দুই বিজেপি কর্মী ও এক তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় পদক্ষেপ নিয়েছেন কেন্দ্র। এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রের এই হস্তক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে আখ্যা দেন। একই সঙ্গে তোপ দাগেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁর ভর্ৎসনা ছিল মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে "কয়েক জন দালাল আজ বলছেন সিঙ্গুর ভুল ছিল। পড়াশোনা কম থাকলে এই রকম হয়। উনি তো কোনও আন্দোলনেই ছিলেন না। ওসব রায়-টায়কে দিয়ে কোনও দিন কোনও আন্দোলন হয়েছে নাকি?," এই ভাষাতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিঁধলেন মুকুল রায়কে।
তাঁর আরও দাবি, দিল্লিতে বসে বিজেপি নেতারা এ রাজ্যের পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন না। তিনি অভিযোগ করেন, "বিজেপির নেতার প্ররোচনা দিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে আমাদের কর্মীদের হত্যা করছে।"
প্রসঙ্গত সন্দেশখালির ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রে। আজ রাজ্যপাল ও প্রধানমন্ত্রীর পূর্বনির্ধারিত বৈঠতেও উঠে আসবে এই ভোট পরবর্তী হিংসার খবর। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যে কি তবে ৩৫৬ ধারা জারি হবে?