সংক্ষিপ্ত
সোমবার দেশের ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে নিজের সেলে বসেই স্মৃতি রোমন্থন করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই দিন নিজের সেল থেকে বিশেষ বাইরে বেরোননি তিনি। দেখা করেছেন খুব অল্প লোকের সঙ্গে। যাঁদের সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁদের পার্থ বলেছেন,"এই দিনটায় কতটা ব্যস্ত থাকতাম।"
স্বাধীনতা দিবসে কারারুদ্ধ পার্থ। এ এক অদ্ভুত সমাপতন। এক বছর আগেও ছবিটা অন্য রকম ছিল। ১৫ অগাস্ট মানেই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে পতকা উত্তোলন করতে যাওয়া, সভা, মিছিল আরও কত কী। অথচ ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে পালটে গেল চেনা ছবি। গড়াদের ওপারে দিন কাটছে প্রাক্তন মন্ত্রীর।
সোমবার দেশের ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে নিজের সেলে বসেই স্মৃতি রোমন্থন করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই দিন নিজের সেল থেকে বিশেষ বাইরে বেরোননি তিনি। দেখা করেছেন খুব অল্প লোকের সঙ্গে। যাঁদের সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁদের পার্থ বলেছেন,"এই দিনটায় কতটা ব্যস্ত থাকতাম।"
প্রেসিডেন্সি জেলে সাধারণ ভাবেই জীবন যাপন পার্থর। বাকি আবাশিকদের মতো সাধারণ খাবারই খাচ্ছেন তিনি। মধ্যাহ্নভোযে কোনও দিন থাকে মাছ, কোনওদিন সয়াবিন, কোনওদিন পাঁঠার মাংস, কোনওদিন ডিম। তবে সব স্বাধীনতা দিবসে ছিল বিশেষ মেনু। দুপুরের খাওয়ারে ছিল, ভাত, মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, শাকভাজা, আলু-পটলের কষা কষা তরকারি, সর্ষেবাটা দিয়ে কাতলা মাছের কালিয়া,কাজু-কিশমিশ-আমসত্ত্ব দিয়ে চাটনি। শেষপাতের মিষ্টিমুখে রসগোল্লা এবং এক হাতা বোঁদে। সবকটি পদই পার্থ খেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য এই ব্যবস্থা তাঁর একার জন্য ছিল না।
আরও পড়ুন - শোয়ার জন্য নেই খাটের ব্যবস্থা, কয়েদিদের সাধারণ খাবার খেয়েই জেলে দিন কাটছে প্রাক্তন মন্ত্রীর
প্রেসিডেন্সি জেলে তৃণমূলের অপসারিত মহাসচিবের দিন কাটে মূলত ‘শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত’সহ অন্যান্য বই পড়ে, সেলের বাইরে ঘোরাঘুরি করে।
এসএসসিকাণ্ডে গত ২২ জুলাই, শুক্রবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ২৭ ঘন্টা ধরে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পর পরের দিন ২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। ১৩ দিন ইডি হেফাজতে থাকার পর গত ৫ অগাস্ট পার্থর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
তবে পার্থ ঘনিষ্ট সূত্রে মারফত জানা যাচ্ছে আইনি লড়াই নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন পার্থ।
আরও পড়ুন - “এ জীবনে আর কী আছে?” ভাবলেশহীন মুখে প্রেসিডেন্সি জেলে প্রবেশ করলেন তৃণমূলের এককালের দুঁদে নেতা