সংক্ষিপ্ত

প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে সমস্ত সরকারি প্রক্রিয়া শেষ করেন জেলকর্মীরা। পুরোদস্তুর তল্লাশির পর মেটাল ডিটেক্টরের ভেতর দিয়ে জেলের কুঠুরিতে প্রবেশ করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন মেটাল ডিটেক্টরে একটি শব্দ শুনে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। জেল কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,”এ জীবনে আর কী আছে?” 
 

নাকতলার বাড়ি থেকে এখন ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেল, খুইয়েছেন মন্ত্রিত্বও। সঙ্গী বলতে একটা কম্বল আর টেবিল ফ্যান। জেল হেফাজতে তৃণমূলের দুঁদে নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামী ১৪ দিন প্রাক্তন মন্ত্রীর ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেলই। ৫ অগাস্ট আদালতের নির্দেশ জানার পর কোনও অভিযোগ করেননি পার্থ, বরং ভাবলেশহীন মুখে এজলাস থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। তৃণমূল কর্মীরা এগিয়ে এলেও তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি প্রাক্তন মহাসচিব।  

শুক্রবার ইডির বিশেষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পার্থ। এই সিদ্ধান্ত জানার পর থেকেই বেড়েছে হতাশা। আদালত থেকে সোজা প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এজলাস থেকে বেরোতেই এক তৃণমূল কর্মী এগিয়ে এসে বলেন, “দাদা পাশে আছি, প্রভু জগন্নাথ রক্ষা করবে।” এর জবাবে নত মস্তকে পার্থ বলেন,”জগন্নাথ প্রভু তো কিছুই করছেন না।” 

আরও পড়ুন - শোয়ার জন্য নেই খাটের ব্যবস্থা, কয়েদিদের সাধারণ খাবার খেয়েই জেলে দিন কাটছে প্রাক্তন মন্ত্রীর

প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে সমস্ত সরকারি প্রক্রিয়া শেষ করেন জেলকর্মীরা। পুরোদস্তুর তল্লাশির পর মেটাল ডিটেক্টরের ভেতর দিয়ে জেলের কুঠুরিতে প্রবেশ করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন মেটাল ডিটেক্টরে একটি শব্দ শুনে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। জেল কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,”এ জীবনে আর কী আছে?”  

আরও পড়ুনআইনি প্যাঁচে মনিবহারা পার্থর সাধের সারমেয়রা, একাকী ফ্ল্যাটে কেমন আছে তারা? খোঁজ নিল কলকাতা পুলিশ

প্রেসিডেন্সি জেল ব্লকের দু’নম্বর সেলে এখন পার্থর সম্বল বলতে তিনটি কম্বল, একটি টেবিল ফ্যান। ছোট রান্নাঘর বা বড় শৌচালয়ের মাপে তৈরি এই কুঠুরির মধ্যেই থাকে আবাসিকদের জন্য শৌচালয়ের ব্যবস্থা। কুঠুরির একদিকে কয়েক ফিট উঁচু দেওয়াল তুলে শৌচকর্মের জায়গাটি আড়াল কত্রা হয়। কয়েদি যাতে রক্ষীর নজরের মধ্যেই থাকে তার জন্যই এই ব্যবস্থা। আর পাঁচজন সাধারণ কয়েদির মতোই সেখানে থাকতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।  

জেলে তাঁর দুপুরের খাদ্য তালিকায় ছিল ভাত, ডাল, সবজি। রাতে দেওয়া হবে রুটি, ডাল, সবজি। সকালে খেয়েছেন চা বিস্কুটও। আগামী ১৩ দিন এই জেলের কুঠুরিই হবে প্রাক্তন মন্ত্রীর ঠিকানা।  

আরও পড়ুনঅর্পিতার চাই কফি, ড্রাই ফ্রুটস, পার্থর দাবি খাসির মাংস, ইডি হেফাজতে এলাহি আয়োজন?