সংক্ষিপ্ত

  • রাজ্য়পালের কার্নিভাল অপমানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিল রাজ্য 
  •  রাজ্যপাল কিছু বললেই তাঁর উত্তর দিতে হবে বললেন পার্থ
  •  স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এই মন্তব্যে অস্বস্তিতে শাসক দল 
     

এবার রাজ্য়পালের কার্নিভাল অপমানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিল রাজ্য। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বললেন, রাজ্যপাল কিছু বললেই তাঁর উত্তর দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এই মন্তব্যে অস্বস্তিতে শাসক দল। 

এতদিন ছিল চাপানউতর। নাম করে কেউ কাউকে আক্রমণ করেনি। কিন্তু এবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। দুর্গাপুজোর কার্নিভালে তাঁকে অপমান করার অভিযোগ তুললেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। মুখে মমতার নাম না করলেও তাঁর নিশানায় যে মুখ্য়মন্ত্রী, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গত ১১ অক্টোবর রেড রোডে দুর্গা পুজোর কার্নিভালে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন রাজ্য়পাল। ধনখড়ের অভিযোগ,তাঁকে রেড রোডে আমন্ত্রণ জানিয়ে ৪ঘণ্টা ব্ল্যাক আউট করে রাখা হয়। সংবাদ মাধ্য়মে অনুষ্ঠানের ক্লিপে দেখানো হয়নি তাঁকে। এমনকী রাজ্য সরকারের তরফে সংবাদ মাধ্যমে অনুষ্ঠানের যে ফিড দেওয়া হয় তাতেও তাঁকে দেখানো হয়নি। কারণ রাজ্য় সরকারের সেই ভিডিয়ো ক্লিপে রাখাই হয়নি তাঁকে। 

ধনখড়ের অভিযোগ, আমন্ত্রণ করে এনে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করা হয়েছে তাঁকে। কেন তাঁকে এভাবে অপমান করা হল তা জানতে সাংবাদিকদের প্রশ্ন তুলতে বলেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, বাংলা সংস্কৃতির পীঠস্থান। সেখানে তাঁর মতো পদ মর্যাদার ব্যক্তিকে এহেন আচরণ সহ্য করতে হবে কেন। এদিন যার উত্তরে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। সাংবাদিকরা রাজ্যপালের অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করতেই বিরক্ত বোধ করেন তিনি। পার্থবাবু বলেন, রাজ্য়পাল যা বলছে তাই আমাদের উত্তর দিতে হবে , এরকম কোনও মানে আছে। তিনি বলছেন, বলতে দিন।

এদিকে, রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিন বলেন, চার ঘণ্টা একটা মঞ্চে রাজ্যপাল বসে রইলেন, তা বোঝাই গেল না। এটা যেকোনও সাংবিধানিক প্রধানের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন। উনি যা বলেছেন, তা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত।