সংক্ষিপ্ত
স্কুলে গরমের ছুটি কমানোর দাবিতে সরব হয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ। স্কুল ছুটির মেয়াদ নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তরফে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা দক্ষিণবঙ্গবাসীর। আর এই গরমের মধ্যে স্কুলে যেতে গিয়ে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা। আর সেই কথা মাথায় রেখেই রাজ্যে ৪৫ দিনের জন্য গরমের ছুটি ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশ্য প্রথম থেকে উত্তরবঙ্গের স্কুলগুলিতে এই ছুটির বিরোধিতা করে আসছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এনিয়ে তৃণমূলের মধ্যেও দেখা দিয়েছে বিদ্রোহের সুর। আর এবার স্কুলে গরমের ছুটি কমানোর দাবিতে সরব হয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ। স্কুল ছুটির মেয়াদ নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তরফে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালতের কাছে যে পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, করোনার কারণে গত ২ বছর স্কুল বন্ধ ছিল। তার জেরে এমনিতেই পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আর এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার গরমের ছুটি বাড়িয়ে ৪৫ দিন করছে, তাতে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় আরও ক্ষতি হবে বলেই তাঁদের আশঙ্কা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ মে।
আরও পড়ুন- 'দাবি পূরণ না হলে জারি থাকবে আন্দোলন', 'বেসুরো' অর্জুনকে ফোন নাড্ডার
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু জানিয়েছেন, তীব্র গরমের ছুটি দেওয়ার ঘোষণা এই প্রথম নয়। এর আগে এরকম হয়েছে। গরমের ছুটি ঘোষণার পরেই কালবৈশাখী এসেছে। তখন তাপমাত্রা কিছুটা নেমেছে। ফলে লম্বা গরমের ছুটির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এবার অনেক দেরি করে শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে এই অবস্থায় দেড় মাস ছুটি থাকলে তারা আবার পিছিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিজেপিতে গণইস্তফা, তথাগত-অনুপমের কথাই কি সত্যি হল এবার
আর এই পিটিশনে ওড়িশা সরকারের পদক্ষেপ ও আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ওড়িশা সরকারের তরফে ৩০ দিনের গরমের ছুটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, পরে তা কমিয়ে ১০ দিন করা হয়। ওড়িশা সরকারের বক্তব্য, মাঝে ২ বছরে করোনার জেরে স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনায় ছেদ পড়েছে। অনলাইনে পড়াশোনা চালাতে হয়েছিল পড়ুয়াদের। আর সেই করোনার ধাক্কা সামলে দীর্ঘদিন পরে স্কুলে ফিরেছে তারা। ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক জীবনে পা রাখার চেষ্টা করছে। তার মধ্যে আবার ছুটি দেওয়া হলে পড়াশোনা ব্যাহত হতে পারে। সেই কারণে গতি বজায় রাখার জন্যই ছুটি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- '১৪ দিন আরও চাই', হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাল সিবিআই
অন্যদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস প্রসঙ্গে পিটিশনে বলা হয়েছে, আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট বলছে, ৩-৪ দিন তাপপ্রবাহ থাকবে। তাহলে তার জন্য এত দিন স্কুল বন্ধ রাখার অর্থ কী? এই প্রশ্ন তুলেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ মে।