সংক্ষিপ্ত
- সল্টলেকের পাঁচটি ভুয়ো কল সেন্টারে চলছিল কোটি টাকার প্রতারণা
- শুধু ভারত নয় ও আরও চারটি দেশের বাসিন্দারাও প্রতারণার শিকার
- প্রতারকদের টার্গেট ছিল, বিদেশের প্রযুক্তিগত পিছিয়ে পড়া বয়ষ্ক মানুষ
- ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করল সিআইডি
সল্টলেকের পাঁচটি ভুয়ো কল সেন্টারে বসে চলছিল কোটি কোটি টাকার প্রতারণা। তবে শুধু ভারত নয় ও বিশ্বের আরও চারটি দেশের বাসিন্দারাও যথেষ্ট ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। আর সেই পাঁচটি ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দিয়ে সাতজন মাথাকে গ্রেফতার করল সিআইডি।
আরও পড়ুন, শ্রমিক আন্দোলনের নব পর্যায়, ৮ জানুয়ারি ধর্মঘটের ডাক দিল শ্রমিক সংগঠন
আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার রাতে ওই পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালান সিআইডির সাইবার শাখার আধিকারিকরা। আর তারপরই রহস্যের পর্দাফাঁস হয়ে যায়। এর আগে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ওই একই আন্তর্জাতিক সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে কল সেন্টারের প্রধানদের গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন, বেল্ট টানতেই পর্দা ফাঁস, বেরোল ১১ লাখের সোনা
সল্টলেকের এই পাঁচটি ভুয়ো কল সেন্টারের প্রত্য়েকটিতেই ২৫ থেকে ৬০ জন করে কর্মচারী কাজ করতেন। আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে, তারা বিদেশে ফোন করত। তাদের মূল টার্গেট ছিল, বিদেশের বয়ষ্ক মানুষ। যারা মূলত কম্পিউটার ব্য়বহার করতেন। কিন্তু প্রযুক্তিগত জ্ঞান না থাকার জন্য়, তারা ওই কলসেন্টারের পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করতেন। আর করা মাত্র ওই কম্পিউটার পুরো বন্ধ হয়ে যেত। তারপর প্রতারকরা ফোন করে টাকা দাবি করত, বদলে তারা ওই কম্পিউটার ঠিক করে দেবে। আর এভাবেই কয়েককোটি টাকা প্রতারণা করেছিল শহরের ভুয়ো কল সেন্টারের অভিয়ুক্তরা।
আরও পড়ুন, ট্রেনের অবস্থান জানতে ইসরো-র সাহায্য় নেবে রেল, যাত্রী পরিসেবায় নয়া উদ্য়োগ
বুধবার, ভবানী ভবনে ডিআইজি (সিআইডি) স্পেশাল মিতেশ জৈন জানিয়েছেন, সল্টলেকের পাঁচটি ভুয়ো কল সেন্টার থেকে একটি আন্তর্জাতিক কম্পিউটার সংস্থার নাম করে চলছিল প্রতারণা চালানো হচ্ছিল। ভারত ছাড়াও বিশ্বের আরও চারটি দেশের নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই ওই পাঁচটি কল সেন্টারের সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।