সংক্ষিপ্ত

 

  • বুধবার শহরে জমায়েত হল শ্রমিক কৃষক নেতৃবৃন্দ
  • ৮ জানুয়ারি ধর্মঘটের ডাক দিল শ্রমিক সংগঠন
  • অন্য়তম লক্ষ্য়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনা
  • কৃষক তথা শ্রমজীবি মানুষদের কাজ ফিরিয়ে দেওয়া
     

বারো দিনের পথ হাঁটার পর বুধবার শহরে, পরবর্তী আন্দোলন পদক্ষেপ হিসাবে  সারা দেশের সঙ্গে বাংলাকেও আগামী ৮ জানুয়ারি ধর্মঘটে সামিল হওয়ার কথা জানালেন শ্রমিক কৃষক নেতৃবৃন্দ।  রানি রাসমণি রোড ছাপানো বিশাল জমায়েত থেকে তাঁরা জানালেন, এবার পাখির চোখ করতে হবে ৮ জানুয়ারির ধর্মঘটকে। শ্রমজীবী মানুষের ওপর মোদী সরকারের আক্রমণ এবং এনআরসি-সিএবি-র সাম্প্রদায়িক বিভাজনের কৌশল ভেঙে দিতে হবে। এর মাধ্য়মেই শ্রমজীবী মানুষই ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের পথে দেশের ভবিষ্যৎ গড়বে। 

আরও পড়ুন, প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ম্য়ারাথনে, ১৫ ডিসেম্বর দৌড়বে কলকাতা

সিআইটিইউ-র সাধারণ সম্পাদক তপন সেন জানিয়েছেন, উপস্থিত সকলেই যে প্রত্যয় ও উপলব্ধি নিয়ে এসেছেন এবার সেটা সব মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন এখন প্রতিরোধের পর্যায়ে উঠে এসেছে। প্রতিরোধের আন্দোলনেই কেন্দ্রীয় সরকারের বেসরকারিকরণের প্রচেষ্টাকে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। তাই শ্রমিকরা  রাস্তায় নেমে প্রতিরোধ করছে। 

আরও পড়ুন, পশ্মিমী ঝঞ্ঝা ও নিম্নচাপে আটকে শীত, রাজ্যে ৪৮ ঘণ্টা পর নামবে পারদ

 সিআইটিইউ পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সভাপতি সুভাষ মুখার্জি বলেন, শ্রমিকরা ক্রমশ কাজ হারাচ্ছেন, কৃষকরা আত্মহত্যা করছেন। অনাহারে, বিনা চিকিৎসায়, মানসিক অবসাদে শ্রমিকের মৃত্যু ঘটছে, আন্দোলনে নেমে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে পার্শ্বশিক্ষকেরও। ভারত কৃষক সভার নেতা অশোক ধাওয়ালে এদিনের সমাবেশে এসেছিলেন। তিনিও পদযাত্রীদের সেলাম জানিয়ে বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প রক্ষা, মজুরি, বেকারের কাজ, শ্রমিকের অধিকার, কৃষকের ফসলের দাম, ঋণমুক্তি, এই সব দাবি আদায় করে নিতে হবে।  আজ দেশের অনেক জায়গাতেই সেটা শুরু হয়েছে, ইতিমধ্য়েই তামিলনাডুতেও মহিলারা দুটি পদযাত্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ হেঁটেছেন।