সংক্ষিপ্ত
বাড়ির দরজা ভেঙে এক স্থানীয় বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। যদিও ওই বিজেপি নেতার দাবি, বিনা অপরাধে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তৃণমূল ও বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের আকার নিল মুচিপাড়া থানা এলাকা। ক্লাব ভাঙচুর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে শুরু হয়েছিল মারপিট। ক্রমশ তা বড় আকার নিতে শুরু করে। চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এলাকায়। এরপর বাড়ির দরজা ভেঙে এক স্থানীয় বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। যদিও ওই বিজেপি নেতার দাবি, বিনা অপরাধে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল বৃহস্পতিবার রাতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুচিপাড়া থানার ঠিক বিপরীতে অবস্থিত বিজেপির একটি ক্লাবে সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ, একদল তৃণমূল কর্মী সমর্থকওই ক্লাবে ঢুকে নির্বিচারে মারধর করে। জিনিসপত্রও ভাঙচুর করে তারা। কোনও কারণ ছাড়াই হামলা চালানো হয়। বিজেপির আরও অভিযোগ, পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। অথচ মুচিপাড় থানা থেকে ওই ক্লাবের দূরত্ব ১০ মিটারও নয়। কার্যত পুলিশের নাকের ডগাতেই ঘটে যায় এই ঘটনা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। তাদের দাবি, বিজেপিই প্রথমে তাদের উপর চড়াও হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ছোট ইলিশ ধরলে বাতিল হবে ট্রলারের রেজিস্ট্রেশন, পদক্ষেপ রাজ্য মৎস্য দফতরের
আরও পড়ুন- ফের শহরে BJP কর্মীদের উপর হামলা, বেধড়ক মারধর-দোকান ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল
এরপরই সজল ঘোষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে মুচিপাড়া থানায় দুটি এফআইআর দায়ের করে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে গ্রেফতারের ঠিক আগে এশিয়ানেট নিউজ বাংলার এডিটর দেবজ্যোতি চক্রবর্তীকে হোয়াটসঅ্যাপ-এ মেসেজ করে সজল ঘোষ জানান, তাঁর বাড়ি পুলিশ ঘিরে ফেলেছে। অন্যায়ভাবে তাঁকে গ্রেফতারের চক্রান্ত চলছে। এই মেসেজ পাওয়ার পরই দেবজ্যোতি চক্রবর্তী ফোন করেন সজল ঘোষকে। ফোন ধরেই তিনি জানান, "আমরা কি অপরাধ করেছি জানি না। আমাদের ছেলেদের মারধর করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন। ক্লাব ভাঙচুর করা হয়েছে। এরপর অভিযোগ নেওয়ার বদলে আমাদের পুলিশি আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে। পুলিশ গ্রেফতার করবে বলে দরজায় লাথি মারছে। পারলে আপনারা আসুন। দেখুন কীভাবে পুলিশ শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে আমাদের উপর অন্যায় অত্যাচার চালাচ্ছে।"
আরও পড়ুন, 'মুখ্য়মন্ত্রীর পছন্দের শিল্প লালবাজারে', গ্রেফতারির পর চপ-মুড়ি পেয়ে চটলেন অগ্নিমিত্রা
তৃণমূলের সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সজল ঘোষের বাড়িতে পৌঁছায় পুলিশ। ঘিরে ফেলা হয় তাঁর বাড়ি। তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে বলে পুলিশ। যদিও তা তিনি অস্বীকার করেন। এরপরই ফিল্মি কায়দায় তাঁর বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন পুলিশকর্মীরা। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব।