সংক্ষিপ্ত

দীর্ঘক্ষণ ট্রাক চালানোর ফলে অনেক সময় ভোরের দিকে চালকদের চোখ লেগে যায়। বহু দুর্ঘটনা ঘটে তার জেরেও। আর সেই কারণে রাতের দুর্ঘটনা কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল ট্রাফিক পুলিশ। রাস্তায় ট্রাক চালকদের হাতে তুলে দেওয়া হল চা ও বিস্কুট । 

রাজ্যে একের পর এক দুর্ঘটনা (Road Accident) ঘটেই চলেছে। এমনকী, মাঝে মধ্যেই পথ দুর্ঘটনা ঘটছে কলকাতাতেও (Kolkata)। বিশেষ করে রাতের দিকে সবথেকে বেশি দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। সম্প্রতি নদিয়ায় (Nadia) একটি পথ দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু (18 People Died) হয়েছে। পাশাপাশি এই পথ দুর্ঘটনা নিয়ে পুলিশকে কড়া বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee)। আর তারপরই দুর্ঘটনা কমাতে অভিনব উদ্যোগ নিল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ (Kolkata Traffic police)।  

দীর্ঘক্ষণ ট্রাক (Truck) চালানোর ফলে অনেক সময় ভোরের দিকে চালকদের চোখ লেগে যায়। বহু দুর্ঘটনা ঘটে তার জেরেও। আর সেই কারণে রাতের দুর্ঘটনা কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল ট্রাফিক পুলিশ (Traffic Police)। রাস্তায় ট্রাক চালকদের হাতে তুলে দেওয়া হল চা ও বিস্কুট (Tea and Biscuit)। গাড়ি চালানোর সময় চালকদের যাতে ঘুমে চোখ জুড়িয়ে না আসে তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

 

 

উল্লেখ্য, রবিবার নদিয়ার হাঁসখালিতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়। শ্মশানযাত্রীবাহী একটি গাড়ির সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১৮ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় জখম হন বেশ কয়েকজন। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকা থেকে একটি মৃতদেহ ও ২৫-৩০ জন শ্মশানযাত্রীকে নিয়ে নবদ্বীপ শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল একটি গাড়ি। রাত ১২ টা নাগাদ নদিয়ার হাঁশখালি থানার ফুলবাড়ি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি পাখথর বোঝাই লরিতে ধাক্কা মারে গাড়িটি। লরিটি অবশ্য রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল। ধাক্কার চোটে গাড়ি থেকে ছিটকে পড়েন একাধিক শ্মশানযাত্রী। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ১৭ জন। পরে হাসপাতালে (Hospital) আরও একজনের মৃত্য়ু হয়। সকলকেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৬ জনকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। লরির চালককে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে, ঘটনাস্থলেই ওই ম্যাটাডোরের চালকের মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), রাজ্যপাল জগদীর ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। নদিয়ার এই ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ করে নবান্ন। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর (Hari Krishna Dwivedi) পৌরহিত্যে ২৯ নভেম্বর উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ছিলেন বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, পুলিশসুপার, পিডব্লুডি ও পরিবহন দফতরের আধিকারিকরা। সেই বৈঠকে বলা হয়েছে, রাস্তার ধারে যে সব সরকারি হাসপাতালগুলিতে এখনও ট্রমা কেয়ার ইউনিট নেই, তা অতি দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করতে হবে। এই ট্রমা কেয়ার সেন্টার (Trauma Care Centre) থাকা অত্যাবশ্যক। মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণনগর হাঁসখালি রাজ্য সড়কে ফুলবাড়ির দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান ৪ সদস্যের একটি বিশেষ ফরেনসিক দল। 

অনেক ক্ষেত্রেই চালকদের গাফিলতির জেরেই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আবার কিছু ক্ষেত্রে সারা রাত ধরে গাড়ি চালানোর জেরে ট্রাক চালকদের চোখে ঘুম এসে যায়। তার জেরেই বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটে। আর তাই চালকদের ঘুম কাটাতে, তাঁদের সজাগ রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য় সরকার তথা কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের তরফ। বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক-লরি দাঁড় করিয়ে চালকদের চা খাওয়াতে দেখা গেল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশকে (Traffic Police)। পুলিশের এই উদ্যোগে খুশি ট্রাক চালকরা (Truck Driver)।