সংক্ষিপ্ত

আজও রাতের কলকাতা মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়। ই এম বাইপাসের উপর অম্বেডকর সেতুর কাছে এক মূক ও বধির মহিলাকে টেনে ছিটড়ে ট্যাক্সিতে তোলা হয়। তারপর সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করে অন্য জায়গায় ফেলে গাড়ি নিয়ে চলে চলে যায় অভিযুক্ত। 

ফের রাতের কলকাতায় (kolkata) ধর্ষণের অভিযোগ। এক মূক ও বধির তরুণীকে ধর্ষর্ণের (Rape) অভিযোগ উঠল শহর কলকাতায়। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। প্রসঙ্গত, মূক ও বধির সেই তরুণীর বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মগরাহাটে। তিনি আনন্দপুর এলাকায় একটি ব্যাগের দোকানে কাজ করেন। প্রতিদিন কাজ থেকে সায়েন্স সিটির মোড় পর্যন্ত হেঁটে যান তিনি। তারপর বাসে করে পার্ক সার্কাস অভধি যান। তারপর সেখান থেকে ট্রেনে করে বাড়ি ফিরতেন। প্রতিদিনের মত গত মঙ্গলবারও কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে সায়েন্স সিটির মোড় পর্যন্ত হেঁটে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময়ই আচমকা ঘটে সেই তরুণীর ওপর হামলা করা হয়। ই এম বাইপাসের উপর অম্বেডকর সেতুর কাছে তাঁকে জোর করে ট্যাক্সিতে তুলে নেওয়া হয়। তারপর তাঁকে ধর্ষণ করে পরে সেই তরুণীকে একটি অন্য জায়গায় নামিয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। 

বুধবার সকালে কোনও রকমে বাড়ি ফেরেন সেই ধর্ষিতা তরুণী। বাড়ি ফিরে এক বন্ধুকে গোটা বিষয়টি জানান সেই তরুণী। তারপর সেই বন্ধুর হাত ধরেই প্রগতি ময়দান থানায় আসেন তিনি। তবে মূক ও বধির হওয়ার জন্য তাঁর ভাষা বুঝতে থানার অফিসারের কথা বুঝতে বেশ খানিকটা সমস্যা হচ্ছিল। তাই জন্য অগত্যা দোভাষী নিয়ে এসে সেই ধর্ষিতা তরুণীর বয়ান রেকর্ড করেন  প্রগতি ময়দান থানায় পুলিশ। তারপর তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয় ঘটনার তদন্ত। আর তদন্তে নেমে শুক্রবার  আনন্দপুর থানা এলাকা থেকে তরুণীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে কামরে আলম ওরফে রাজা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় বিচারক। তবে পুলিশ সুত্রে খবর, খুব শীঘ্রই  টিআই প্যারেড করানো হবে। আর সেখানেই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করবেন সেই নির্যাতিতা তরুণী। 

আরও পড়ুন-মালদহে স্বামীর অনুপস্থিতিতে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ জামাইবাবুর বিরুদ্ধে, তদন্তে পুলিশ

আরও পড়ুন-কলকাতা থেকে ধৃত মুম্বইয়ের দম্পতি, ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে হুমকি ও টাকা হাতানোর অভিযোগ

আরও পড়ুন-UP Elections 2022: গণধর্ষিতার মা'ই উন্নাও-এ কংগ্রেসের 'আশা', তবে জিতবেন কি

মূক ও বধির তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আজও রাতের শহর মোটেই নারীদের জন্য সুরক্ষিত নয়। মূক ও বধির তরুণীরাও ধর্ষর্ণের মত নৃশংস ঘটনার হাত থেকে রেহাই পায় না। তবে প্রগতি ময়দান থানার ওপর ভরসা রাখছেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। এখন অপেক্ষা টিআই প্যারেডের। সেই মূক ও বধির ধর্ষিতা তরুণী অভিযুক্তকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করার পরই অভিযুক্তের যথাযথ বিচার হবে।