সংক্ষিপ্ত
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিকৃত করায় গ্রেফতার হয়েছিলেন বিজেপির নারী মোর্চার সদস্য প্রিয়ঙ্কা শর্মা।
- ঘটনার জল এতদূর গড়ায় যে অবশেষে বিষয়টিতে সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিকৃত করায় গ্রেফতার হয়েছিলেন বিজেপির নারী মোর্চার সদস্য প্রিয়ঙ্কা শর্মা। ঘটনার জল এতদূর গড়ায় যে অবশেষে বিষয়টিতে সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট থেকে জানান হয় ছবি বিকৃত করার জন্য লিখিত ক্ষমা চাইতে হবে প্রিয়ঙ্কাকে। এদিনই সকাল ৯.৪০ -এ ছেড়ে দেওয়ার অর্ডার আসে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তাকে জেল হেফাজত থেকে কেন ছাড়া হল না এই নিয়ে গেরুয়া শিবির থেকে প্রশ্ন তোলা হয়।
এএনআই সূত্রে খবর, বুধবার প্রিয়ঙ্কা শর্মার কাউন্সেল এনকে কৌল সুপ্রিম কোর্টে বলেন, প্রিয়ঙ্কা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ছাড়ার আগে লিখিত বয়ান সমতে ক্ষমা চাইতে হবে। পুলিশের দ্বারা প্রস্তুত করা সেই বয়ানে প্রিয়ঙ্কাকে লিখতে হবে, ভবিষ্যতে তিনি এমন আর পোস্ট করবেন না।
জানা গিয়েছে, পুলিশি হেফাজত থেকে ছাড় পেয়ে আজ একটি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা শর্মা।
হাওড়ার দাসনগরের বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কাকে গত বুধবার প্রাক্তন কাউন্সিলার বিভাস হাজরার এফআইআর-এর ভিত্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ ছিল, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মেট গালা-র ছবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ বসিয়েছেন তিনি।
যদিও ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার হাওড়া সদরের সহ-সভাপতি আনন্দ রাই তখন বলেছিলেন এমন কিছুই করেননি প্রিয়ঙ্কা। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে রাজনৈতিক কারণেই। বৃহত্তর আন্দোলনে যাবার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। তখন আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। মমতার ওই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়।
শুধুমাত্র লিখিত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়াকে রাজ্য বিজেপি নৈতিক জয় বলে মনে করছে। শেষ দফায় ভোটের আগে এই ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।