সংক্ষিপ্ত
- শিয়ালদা স্টেশন থেকে বাজেয়াপ্ত রেমডিসিভিরের ১০টি ভায়াল
- আরপিএফের আধিকারিকদের হাতে ধৃত দুই ব্যক্তি
- ওই দুই ব্যক্তি নয় নম্বর প্ল্যাটফর্মে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছিল
- তখনই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে আরপিএফ
শিয়ালদা স্টেশন থেকে বাজেয়াপ্ত রেমডিসিভির ইঞ্জেকশনের ১০টি ভায়াল। আরপিএফের আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়েছে দুই ব্যক্তিও। মঙ্গলবার শিয়ালদা স্টেশনের নয় নম্বর প্ল্যাটফর্মে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন দুই ব্যক্তি। তাদেরকে আটকান আরপিএফের আধিকারিকরা।
শিয়ালদা স্টেশন চত্বর জুড়ে রুটিন নজরদারি চালাচ্ছিল আরপিএফ। তখনই ওই দুই ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন আধিকারিকরা। দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। তখনই ওই দুই ব্যক্তিকে আটকানো হয়। দুপুর একটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ওই দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে আরপিএফ। এরপর তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় রেমডিসিভিরের ১০টি ভায়াল, যার প্রতিটি বাংলাদেশে তৈরি।
রেমডিসিভির মূলত করোনা রোগিদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কাজে লাগে। কিন্তু এই দুই ব্যক্তি সেই ওষুধ কোথা থেকে পেল, তা নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারে নি। এমনকী তাদের কাছে বৈধ কোনও কাগজপত্রও ছিল না এই ওষুধের। আরপিএফের ধারণা এই ওষুধ চড়া দামে পাচারের উদ্দেশ্যে ছিল ওই দুই ধৃত ব্যক্তি। ওই দুই ব্যক্তিকে জিআরপি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে, মঙ্গলবার, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করেছে, ভারতে দৈনিক নতুন কোভিড-১৯ সংক্রমণ এবং কোভিডের সঙ্গে জড়িত মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার প্রাথমিক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, কমপক্ষে ১৮ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড-১৯ এর দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমে কমছে। এই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি হল - মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, বিহার, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, চণ্ডিগড়, লাদাখ, দমন এবং দিউ, লক্ষদ্বীপ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।
তবে, দেশের দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ কমলেও, তার উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। এই রাজ্যে এখনও প্রতিদিন বেড়ে চলেছে দৈনিক নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা। একই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, পঞ্জাব, অসম, জম্মু ও কাশ্মীর, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, পদুচেরি, মণিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্রদেশে। এই রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলি নিয়ে এখনও উদ্বেগে রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।