সংক্ষিপ্ত
প্রতিবছর রাজ্যের প্রতিটি জেলার হস্তশিল্পীদের নিয়ে কলকাতা এবং শিলিগুড়িতে সরস মেলার আয়োজন করা হয়। এবার এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে ২২টি জেলা ও ২১টি রাজ্য।
কলকাতায় শীত পড়তেই শুরু হয়ে যায় উৎসবের আমেজ। গায়ে শীতের আমেজ মেখেই বিভিন্ন উৎসবে সামিল হন রাজ্যবাসী। বড়দিনের আগেই কলকাতায় শুরু হয়েছে নানা ধরনের মেলা। কোথাও হস্ত শিল্প মেলা কোথাও সরস মেলা। তো কোথাও সংস্কৃতি ও প্রকৃতি উৎসব। বড়দিনেই আগে থেকেই শহরের বুকে শুরু হতে চলেছে এই দুই মেলা ও উৎসবগুলি। ১৭তম কলকাতা সরস মেলার উদ্বোধন হল নিউটাউন মেলা প্রাঙ্গণে। এই মেলা চলবে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী পুলক রায়, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সহ রাজ্যের বিভিন্ন দফরের মন্ত্রীর উপস্থিতিতে কলকাতা সরস মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রতিবছর রাজ্যের প্রতিটি জেলার হস্তশিল্পীদের নিয়ে কলকাতা এবং শিলিগুড়িতে সরস মেলার আয়োজন করা হয়। এবার এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে ২২টি জেলা ও ২১টি রাজ্য।
কলকাতায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জাতীয় স্তরের একমাত্র হস্তশিল্প মেলা এটি। উদ্যোগ রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা ছাড়াও ২১টি রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা তাঁদের হাতে তৈরি সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছেন এবারের সরস মেলায়। এবার এই মেলায় ২৫৬টি স্টল রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে খাবারের স্টল। মেলা চলবে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ দিয়ে সাহায্য করে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে।
অন্যদিকে, সল্টলেক বি জে ব্লকের মাঠে শুরু হল বাংলার সংস্কৃতি ও প্রকৃতি উৎসব। যেখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি পাখির প্রদর্শনী। ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। প্রতিদিন দুপুর ৩ টে থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বিধাননগর পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর কৃষ্ণা চক্রবর্তীর উদ্যোগে সল্টলেক বি জে ব্লকের মাঠে বাংলার সংস্কৃতি ও প্রকৃতি উৎসবের আয়োজন করা হয়। প্রদীপ জ্বালিয়ে বাংলার সংস্কৃতি ও প্রকৃতি উৎসবের উদ্বোধন করেন বিধাননগর পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী, অভিনেত্রী সোহিনী সরকার ও অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর পৌর নিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সহ বিশিষ্টজনেরা। বিশেষ আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি পাখি, ফল, ফুল, সবজি প্রদর্শনী ও প্রতিদিন লোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলার সংস্কৃতি ও প্রকৃতি উৎসব চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।