সংক্ষিপ্ত
- সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন সাংসদ সৌগত রায়
- এ দিনই হাজিরা দেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্রও
- কলকাতা হাইকোর্টে নতুন আবেদন করলেন তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদ
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পর এবার সৌগত রায়। নারদা কাণ্ডে সিবিআই-এর সামনে হাজিরা দিলেন আরও এক তৃণমূল সাংসদ। এ দিন দুপুরে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন দমদমের সাংসদ। একই সঙ্গে এ দিন নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্রও। তিনিও নারদা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত।
নারদার স্টিং অপারেশনে তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল সৌগত রায়কেও। সেই সূত্রেই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বর্তমানে একের পর এক অভিযুক্ত নেতাদের ডেকে তাঁদের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করছে সিবিআই। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের পাশাপাশি কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ইতিমধ্যে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুন- হয়রান করছে না সিবিআই, তৃণমূলনেত্রীর উল্টো সুর সুব্রতর মুখে
কয়েকদিন আগেই নারদা কাণ্ডে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার গলার স্বর পরীক্ষার জন্য নমুনা রেকর্ড করে গিয়েছেন আর এক প্রবীণ তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। নারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের সবাইকেই গলার স্বরের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। ডাকা হয়েছে প্রাক্তন মেয়র এবং বর্তমানে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও।
নারদ স্টিং কেলেঙ্কারিতে হাইকোর্টে নতুন মামলা দায়ের ইকবাল আহমেদের। সিবিআই তাঁকে ভয়েস টেস্টের জন্য তলব করেছে। কিন্তু তিনি অসুস্থ তাই কোর্টের কাছে ৩ সপ্তাহের সময় চেয়েছেন। অন্যদিকে, ভয়েস টেস্টের জন্য নিম্ন আদালতের কাছে অনুমতি চেয়েছিল সিবিআই। নিম্ন আদালত সিবিআইকে অনুমতি দিয়েছিল। ইকবাল নিম্ন আদালতের অনুমতিকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন হাইকোর্টে।
অন্যদিকে, এ দিনই নারদা কাণ্ডে হাইকোর্টে নতুন মামলা দায়ের করেছেন ইকবাল আহমেদ। সিবিআই তাঁকে গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য তলব করেছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ বলে দাবি করে আদালতের কাছে তিন সপ্তাহ সময় চেয়েছেন তৃণমূল নেতা। নারদ কাণ্ডে অভিযুক্তদের গলার স্বর পরীক্ষার জন্য নিম্ন আদালতের কাছে অনুমতি পেয়েছিল সিবিআই। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই ইকবাল নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছেন হাইকোর্টে।