সংক্ষিপ্ত
বাবার সঙ্গে ভোট দিতে যাওয়ার সময় বুথের ভিতরে ঢুকে ভিডিও করেন সায়নদেব। গোটা বিষয়ের একটা ভিডিও করেন। এমনকী, কীভাবে ও কাকে তিনি ভোট দিচ্ছেও তাও ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন।
আজ সকালে বাবা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের (Sovandeb Chattopadhyay) সঙ্গে ভোট দিতে গিয়েছিলেন সায়নদেব (Sayandeb Chatterjee)। এদিকে বুথে (polling booth) ঢোকার পর নিজের ভোটদানের মুহূর্তে ভিডিও (Video) করেন তিনি। তারপর তা সোশ্যাল মিডিয়াতেও (Social Media) আপলোড করেছিলেন। যা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনী আইন বিরুদ্ধ। যদিও শেয়ার করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা সরিয়ে দেন তিনি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কাছে হারতে হয়েছিল বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে। এবং সেখানেই থামেননি। নন্দীগ্রামে সামান্য ভোটে হারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বলার আগেই ওই আসনটি মমতার জন্য ছেড়ে দেন শোভনদেব। আর এবার দলনেত্রীকে ভোট দেওয়ার জন্য সকাল সকাল ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বুথে আসেন তিনি।
ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর শোভনদেব বলেন, "আমি খুব খুশি আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিচ্ছি। মমতা সারা দেশের নেত্রী। তিনি যত বেশি ভোটে জিতবেন ততই তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি হবে। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেত্রী তিনি। ভবানীপুরের ভোট বাড়বে।"
আরও পড়ুন- খালসা হাইস্কুলে ভুয়ো ভোটার, অভিযুক্তের পিছনে 'চোর চোর' বলে দৌড় প্রিয়াঙ্কার
এদিকে বাবার সঙ্গে ভোট দিতে যাওয়ার সময় বুথের ভিতরে ঢুকে ভিডিও করেন সায়নদেব। গোটা বিষয়ের একটা ভিডিও করেন। এমনকী, কীভাবে ও কাকে তিনি ভোট দিচ্ছেও তাও ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন। কিন্তু, বিতর্ক শুরু হয় এরপর। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। তার ক্যাপশনে তিনি লেখেন, "দিদিকে ভোট দিলাম। আমার নেত্রীর জন্য ভোট দিলাম। বাংলার জন্য ভোট দিলাম। ভারতের জন্য ভোট দিলাম।"
এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক হয়ে সায়নদেব কীভাবে ভোট দেওয়ার ভিডিও করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও শেয়ার করার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই পোস্ট সরিয়ে দেন তিনি। যদিও ততক্ষণে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- সকাল সকাল ইভিএম কারচুপির অভিযোগ প্রিয়াঙ্কার, মিথ্যে বলে দাবি ফিরহাদের
উল্লেখ্য, নির্বাচনী আইন অনুসারে কোনও ব্যক্তি নিজের সঙ্গে করে মোবাইল ফোন নিয়ে যেতে পারেন না। তবে শুধু মোবাইল ফোনই নয় কর্ডলেস বা ওয়্যারলেস ফোনও বুথে নিয়ে যেকে পারেন না তিনি। শুধুমাত্র অজার্ভার বা মাইক্রো অজার্ভার, প্রিসাইডিং অফিসার ও নিরাপত্তারক্ষীরা মোবাইল ফোন নিয়ে যেতে পারেন। যদিও সেক্ষেত্রে বুথের মধ্যে তাঁদের ফোন সাইলেন্ট করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।