সংক্ষিপ্ত
বিরোধীদের দাবি, সেই ইভিএমে একমাত্র দলীয় প্রার্থী আমিরুল ইসলামের নাম ছিল। এই ঘটনায় বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল প্রার্থী।
সামশেরগঞ্জে তৃণমূলের বুথ অফিসের (TMC Booth Office) সামনে নকল ইভিএম (Fake EVM) দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বুথমুখী ভোটারদের (Voter) কোথায় ভোট দিতে হবে তা নকল ইভিএমের মাধ্যমে দেখিয়ে দিচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা (TMC Worker)। মহব্বতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এই ঘটনাটি ঘটেছে। বিরোধীদের দাবি, সেই ইভিএমে একমাত্র দলীয় প্রার্থী আমিরুল ইসলামের (Amirul Islam) নাম ছিল। এই ঘটনায় বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। তৃণমূলের দাবি, ভোটারদের ইভিএম মেশিনে (EVM Machine) কীভাবে ভোট দিতে হয় তা শেখানো হচ্ছিল।
অন্যদিকে সামসেরগঞ্জের দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে খোদ তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, ভোটারদের কাছে গিয়ে জোড়া ফুল ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ভোট দেওয়ার কথা বলেন তিনি। যদিও বিজেপির সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তিনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কাউকে তিনি প্রভাবিত করছেন না। শুধুমাত্র ভোটারদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করছিলেন। তিনি বলেন, "আমাদের মুসলিমদের মধ্যে এক ধরনের সৌজন্য বিনিময় প্রথা আছে। আমায় কেউ সৌজন্য বিনিময়ের জন্য ডাকলে আমি তাঁর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আর কিছুই নয়। এখানে ভোটারদের প্রভাবিত করার প্রশ্নই আসে না।"
আরও পড়ুন- সকাল সকাল ইভিএম কারচুপির অভিযোগ প্রিয়াঙ্কার, মিথ্যে বলে দাবি ফিরহাদের
সামেশরগঞ্জে লড়াই চতুর্মুখী। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের। তাই তখন নির্বাচন স্থগিত রাখে কমিশন। আর এবার এই কেন্দ্রে আলাদাভাবে প্রার্থী দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। এখানে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আমিরুল ইসলাম, বিজেপির প্রার্থী মিলন ঘোষ। জইদুর রহমান লড়ছেন কংগ্রেসের হয়ে। সিপিএম প্রার্থী করেছে মোদাসসর হোসেনকে। সকাল ৯টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১৬.৩২ শতাংশ।
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে শুরু ভোটগ্রহণ, সকাল থেকে বুথ পরিদর্শন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের
সামশেরগঞ্জের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। তা হল জঙ্গিপুর। সেখানে ভোটের লড়াইতে রয়েছেন, তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন, বিজেপি প্রার্থী সুজিত দাস এবং আরএসপি প্রার্থী জানে আলম মিঞা। এর আগে গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ওই কেন্দ্রের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। যার জেরে স্থগিত হয়ে যায় নির্বাচন। সকাল ৯টা পর্যন্ত জঙ্গিপুরে ভোটের হার সবথেকে বেশি। সেখানে ১৭.৫১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুন- বুথ জ্যাম থেকে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ, তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ
এই দুই কেন্দ্রের সব বুথেই মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জঙ্গিপুরে বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে ১৯ কোম্পানি বা প্রায় ১ হাজার ৪০০ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। আর সামশেরগঞ্জে রয়েছে ১৮ কোম্পানি বা প্রায় ১ হাজার ৩০০ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। এছাড়া দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের ৫০ শতাংশ বুথেই রয়েছে সিসিটিভি।