ফের মুখ্যমন্ত্রীর সমমালোচনায় মুখর রাজ্যপালএবারের বিষয় রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে অসহযোগিতাপশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই রাজ্যের দুই প্রধানে ধুন্ধুমার চলছেরাজ্যপালের মতে কেন্দ্রীয় দলের জন্য লাল কার্পেট বিছিয়ে দেওয়া উচিত ছিল

পত্রযুদ্ধেও মীমাংসা হয়নি। করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে ফের একবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সমালোচনায় মুখর হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিষয়, রাজ্যে আন্ত্র-মন্ত্রক কেন্দ্রীয় দলের সফর এবং রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে প্রতিটি পদক্ষেপে অসহযোগিতা। লাল কার্পেট পেতে দেওয়ার বদলে, কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছিলেন মমতা, বলে সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল।

এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য যেখানে আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল তাদের কাজ পরিচালনায় সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। যখন পুরো দেশ কোভিড-১৯'এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং আইএমসিটি (আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল) পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে এসেছিল, আমাদের উচিত ছিল লাল কার্পেট পেতে তাদের বরণ করা'।

Scroll to load tweet…

বস্তুত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যেদিন আন্ত্রঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছিল, সেইদিন থেকেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এমনকী রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরাও, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা ও বিরোধিতায় মুখর হয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিয়মের সঙ্গে বেমানান বলে জানিয়েছিলেন।

কেন্দ্র প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তিনটি রাজ্যেই অবিজেপি দলের সরকার রয়েছে। কেন বিজেপি শাসিত রাজ্যে দল পাঠানো হচ্ছে না, তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। পরে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে গুজরাত, তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশেও আইএমসিটি পাঠানো সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিজেপি শাসিত হোক কিংবা অবিজেপি দলের সাসনে থাকা রাজ্য, অন্য কোনও রাজ্য়েই কেন্দ্রীয় দলকে সমস্যায় পড়তে হয়নি। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গে রীতিমতো তাদের ঠুটো করে রেখে দেওয়া হয়। এই নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে আসা দুই দলের একটির প্রধান অপূর্ব চন্দ-ও।