সংক্ষিপ্ত
- সোমেন মিত্রের প্রয়াণে সকালেই শোকপ্রকাশ করেন মমতা
- শেষ বার সতীর্থকে দেখবেন বলে অপেক্ষা করেন বিধানসভায়
- কিন্তু অপেক্ষার বাঁধ ভাঙে, এক ঘন্টা দেরী হতে পারে শোনেন
- আসতে দেরী হবে জানতেই পুষ্পস্তবক রেখে বেরিয়ে যান মমতা
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের প্রয়াণে বৃহস্পতিবার সাতসকালেই শোকপ্রকাশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। আর অন্তিম যাত্রা এই বর্ষীয়ান নেতার মরদেহ দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সোজা বিধানভবন হয়ে বিধানসভায় পৌছানোর কথা ছিল। সকালে কংগ্রেসের জানানো অন্তিম যাত্রার সময়সূচি মেনেই মুখ্যমন্ত্রী অপেক্ষা করছিলেন বিধানসভায়। কিন্তু সেই অপেক্ষার বাঁধ ভাঙে। আসতে দেরী হবে জানতেই সেখানেই পুষ্পস্তবক রেখে সোজা নবান্নের উদ্দেশে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন, 'ছোড়দা'কে ভূলতে পারেননি 'দিদি', আরোগ্য কামনায় হাসপাতালেও পৌঁছে ছিল ফুল
আটাত্তর বছরের এই প্রবীন নেতার শ্রদ্ধায় সকাল থেকেই মৌলালির প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতরে ছিল উপচে পড়া ভিড়। প্রদীপ ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা সেখানেই প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ভিডিও বার্তায় শোকপ্রকাশ ও সমবেদনা জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরি। একইরকম ভাবে শোকজ্ঞাপন করেছেন দীপা দাশমুন্সিও।
আরও পড়ুন, চলে গেলেন 'ছোড়দা', প্রয়াত সোমেন মিত্রের শেষযাত্রার সূচি ঘোষণা করল কংগ্রেস
অপরদিকে, মুখ্যমন্ত্রী অপেক্ষা করছিলেন বিধানসভায়। পুষ্পস্তবক নিয়ে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদই বিধানসভায় পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় আসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাও। ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান, আর কতটা সময় লাগতে পারে। তাঁকে জানানো হয় প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের মরদেহ বিধানসভায় আসতে আরও ঘণ্টাখানেক সময় লাগবে। এরপর আর দেরি করেননি মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতার মরদেহ যেখানে রাখা হবে, সেখানেই পুষ্পস্তবক রেখে দিয়ে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। 'আমার কাজ আছে, আর কতক্ষণ অপেক্ষা করব', বলে বেরিয়ে যাওয়ার আগে মন্ত্রিসভার তিন সদস্যকে দায়িত্ব দিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কলকাতার নার্সিং হোমে থাকাকালীন সোমেন মিত্রের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত রবিবার ফোন করে সোমেন মিত্রের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে ফুল পাঠিয়ে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেন তিনি। তবে শেষ দেখাটা আর হল না।