সংক্ষিপ্ত
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওড়িশি নৃত্যশিল্পী হিসাবেও পরিচয় রয়েছে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের। বরাবরই নিজেকে একটু লো-প্রোফাইল রাখতে ভালোবাসেন ডোনা। সৌরভের ছায়াসঙ্গী হিসাবেই বরং তিনি বেশি পরিচিত। কিন্তু, এবার হয়তো সত্যি সত্যি স্বামী সৌরভকে পিছনে ফেলেই রাজনীতিতে আসতে চলেছেন ডোনা। এমনই জল্পনা এখন ছড়িয়ে পড়েছে।
রাজনীতি কবে আসছেন বীরেন রায় রোডের বিখ্যাত গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার? এই নিয়ে কৌতুহলের সীমা নেই। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এর আগে তো সৌরভকে প্রায় মুখ্যমন্ত্রীর তখতেই তুলে ফেলেছিল সংবাদমাধ্যমের একাংশ। কিন্তু সেই জল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার সৌরভের বাড়িতে অমিত শাহ-র নৈশাহারের পর নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে। আর এই জল্পনায় দাবি করা হয়েছে যে সৌরভ নয়, তাঁর স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ে আগে রাজনীতিতে অভিষেক করতে পারেন। এতে প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে ডোনা রাজ্যসভায় মনোনিত হতে পারেন। রাজ্যসভার প্রেসিডেন্ট তাঁকে মনোনিত করতে পারেন।
সূত্রের খবর যে রাজ্যসভায় মনোনিত হওয়ার প্রস্তাব এলে ডোনা তা গ্রহণ করবেন। এই বিষয়ে একটা ঐক্যমত তৈরি হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি বাংলা সফরে কলকাতায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে নৈশভোজ সারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই নৈশভোজেই নাকি এই বিষয়ে অমিত শাহ প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজ্যসভায় ডোনাকে মনোনিত করার জন্য। নৈশভোজে স্বাভাবিকভাবেই হাজির ছিলেন ডোনা। কারণ সৌরভের সঙ্গে সঙ্গে তিনি ও ছিলেন সেদিন অমিত শাহর-র সম্মানে দেওয়া নৈশভোজের অন্যতম হোস্ট। সৌরভের বাড়িতে অমিত শাহ-র যাওয়া নিয়ে এমনিতেই জল্পনার অভাব ছিল না। এতে আরও ঘি ঢালে ডোনার একটি মন্তব্য। অমিত শাহ-র নৈশভোজের পরের দিনই একটি হাসপাতালের এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। ওই একই অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের নগরোন্নয়নমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে অমিত শাহ-কে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। সৌরভ অমিত শাহ-র কে নিয়ে কোনও মন্তব্য সেভাবে করেননি। আর সেদিন তাঁর মুখেও মমতা বন্দনাই সবচেয়ে বেশি ছিল।
এই অনুষ্ঠানে অমিত শাহ-র নৈশভোজ নিয়ে যে মানুষটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বয়ান দিয়েছিলেন তিনি হলেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। সৌরভের সক্রিয় রাজনীতিতে আসা নিয়ে তিনি বলেছিলেন, 'জল্পনা করাটা মানুষের অন্যতম কাজ। যদি তেমন কিছু ঘটে তাহলে সকলেই তা জানতে পারবে। সকলেই বলে সৌরভ রাজনীতিতে গেলে ভালো করবে এবং মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবে।'
ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের এহেন মন্তব্যের জেরে সকলে মনে করেছিলেন যে সৌরভ হয়তো এবার সত্যি সত্যি রাজনীতিতে আসছেন। কিন্তু, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিছু সূত্র মারফত অন্য ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। জানা যায়, বিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট পদে এত ব্যস্ত থাকতে হয় যে সৌরভ আর নতুন করে কোনও দায়িত্বের বোঝা নিতে চাইছেন না। সেই সময় সামনে আসে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। জল্পনায় দাবি করা হয় যে ভোট রাজনীতির ময়দানে এখনই না নামলেও রাজ্যসভার অলিন্দে সদস্য হিসাবেই হয়তো প্রবেশ করে চলেছেন।
ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের এহেন মন্তব্যের জেরে সকলে মনে করেছিলেন যে সৌরভ হয়তো এবার সত্যি সত্যি রাজনীতিতে আসছেন। কিন্তু, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিছু সূত্র মারফত অন্য ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। জানা যায়, বিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট পদে এত ব্যস্ত থাকতে হয় যে সৌরভ আর নতুন করে কোনও দায়িত্বের বোঝা নিতে চাইছেন না। সেই সময় সামনে আসে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। জল্পনায় দাবি করা হয় যে ভোট রাজনীতির ময়দানে এখনই না নামলেও রাজ্যসভার অলিন্দে সদস্য হিসাবেই হয়তো প্রবেশ করে চলেছেন। ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজ্যসভায় যাওয়া নিয়ে যে জল্পনা ছড়িয়েছে তাতে সিপিএম থেকে শুরু করে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে।
ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় ও দীক্ষামঞ্জরি
রাজ্যসভায় মোট সদস্য সংখ্যা ২৫০ জন। এরমধ্যে ১২ জনকে নিজস্ব ভেটো দিয়ে মনোনিত করতে পারেন রাজ্যসভার প্রেসিডেন্ট। এক্ষেত্রে এমন ব্যক্তিত্বদেরই মনোনিত করা হয় যারা সংস্কৃতি, নৃত্য, গীত এবং সাহিত্য অথবা শিল্পে একটা অবদান রাখতে পেরেছেন। ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় একজন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী। দেশজুড়ে তিনি তাঁর নাচের ঘরানায় যথেষ্টই পরিচিত নাম। কিংবদন্তি ওড়িশি নৃত্য প্রশিক্ষক কেলুচরণ মহাপাত্রের ছাত্রী ডোনা। তিনি নিজেও দীক্ষা মঞ্জরি নামে একটি নাচের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছিলেন। তাঁর এই দীক্ষা মঞ্জরির আবার দ্বারোদঘাটন করেছিলেন সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর।