সংক্ষিপ্ত
'তৃণমূল বিধায়কদের ঘরের ৮০ ভাগ লোকই তো আমাদের সঙ্গে আছেন', দাবি শুভেন্দুর। বিজেপি বিধায়কদের অনৈতিক সাসপেনশন প্রত্যাহার, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা সহ একাধিক বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বিধানসভার বাইরে বিজেপি পরিষদীয় দলের বিক্ষোভ।।
'তৃণমূল বিধায়কদের ঘরের ৮০ ভাগ লোকই তো আমাদের সঙ্গে আছেন, ওদের মধ্যে আমাদের লোক আছে এখনও', দাবি শুভেন্দুর। বিজেপি বিধায়কদের অনৈতিক সাসপেনশন প্রত্যাহার, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা সহ একাধিক বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বিধানসভার বাইরে বিজেপি পরিষদীয় দলের বিক্ষোভ।। মূলত আগের অধিবেশেনে নিয়ম ভেঙে সাসপেনসনের মুখে পড়েছিলেন শুভেন্দু সহ ৭ বিজেপি বিধায়ক। এই অধিবেশনে সেই সাসপেনশন প্রত্যাহার করেও লাভ হল না।আবেদনে পদ্ধতিগত ত্রুটি আছে বলে তা খারিজ করেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এর প্রতিবাদেই বিধানসভা গেটের বাইরে বিক্ষোভে বসেন বিধায়করা। নেতৃত্ব দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
১০ জুন থেকে বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। চলবে ১৭ তারিখ অবধি।এই অধিবেশনে পেশ হবে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল। সেখানে বিরোধী বিধায়কের উপস্থিতি নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। গত অধিবেশনে বিধানসভা কক্ষে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ৭ বিধায়ককে। সাসপেনশন প্রত্যাহার করে এই অধিবশনে তাঁরা যোগ দিতে পারবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা স্পিকারের। সোমবার ৭ জন বিধায়ক সাসপেনশন তোলার জন্য আবেদন করেন।আবেদনে পদ্ধতিগত ত্রুটি আছে বলে তা খারিজ করেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মঙ্গলবার ফের আবদন করতে বলেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, নুপুর শর্মাকে তলব করল এবার কলকাতা পুলিশ, বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের
এই প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, কোনও সিদ্ধান্ত স্পিকারের নিজের ইচ্ছেয় হয়নি। আমি সকালেই আমাদের দলের মুখ্য সচেতককে এই বিষয়টি জানিয়েছিলাম যে, আমাদের প্রস্তাব গৃহিত হবে না। ওদের মধ্যে আমাদের লোক আছে এখনও। মুখ্যমন্ত্রী পারিষদের মন্ত্রীকে ফোন করে বলেছেন ওদের প্রস্তাব যেনও কোনওভাবেই গৃহিত না হয়। আমি সকাল ৯ টার সময় বিজেপি পরিষদীয় দলের সদস্যদের একথা জানিয়ে দিই। তৃণমূল বিধায়কদের ঘরের ৮০ ভাগ লোকই তো আমাদের সঙ্গে আছেন।' রাজনৈতিক মহলের মতে শাসক শিবিরের মধ্যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি করতেই এমন কৌশল নিয়েছে নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
প্রসঙ্গত বিরোধী দলের অন্দরে গুপ্তচর থাকার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদিও সেই দাবিকে অস্বীকার করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেই বিতর্ক ফের উসকে দিয়ে এদিন শুভেন্দু বলেছেন, ওদের লোকেরাই তো আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে, আমাদের প্রস্তাব গৃহিত হবে না। আগামীকাল ফের শুনানি রয়েছে আদালতে।সেই শুনানিতে আদালত যে নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ী আমরা শুনব।'
আরও পড়ুন, সিবিআই-র যুগ্ম অধিকর্তা বদল, কয়লা পাচার-গরুপাচার তদন্তের দায়িত্বে এবার এন বেণুগোপাল