সংক্ষিপ্ত

কয়লা পাচার, গরুপাচার তদন্তের মধ্য়েই কলকাতায় সিবিআই-র ইস্ট জোনের যুগ্ম অধিকর্তাকে বদল করা হল। কেন্দ্রীয় সংস্থার ইস্ট জোনের অধিকর্তা ( জয়েন্ট ডিরেক্টর ) হচ্ছেন বেণুগোপাল। এতদিন এই পদে ছিলেন পঙ্কজ শ্রীবাস্তব। সিবিআই সূত্রে খবর, এখন থেকে কয়লা পাচার, গরুপাচার, নারদ তদন্তে তদারকি করবেন ইস্ট জোনের অধিকর্তা বেণুগোপাল।

কয়লা পাচার, গরুপাচার তদন্তের মধ্য়েই কলকাতায় সিবিআই-র ইস্ট জোনের যুগ্ম অধিকর্তাকে বদল করা হল। কেন্দ্রীয় সংস্থার ইস্ট জোনের অধিকর্তা ( জয়েন্ট ডিরেক্টর ) হচ্ছেন বেণুগোপাল। এতদিন এই পদে ছিলেন পঙ্কজ শ্রীবাস্তব। সিবিআই সূত্রে খবর, এখন থেকে কয়লা পাচার, গরুপাচার, নারদ তদন্তে তদারকি করবেন ইস্ট জোনের অধিকর্তা বেণুগোপাল।

জানা গিয়েছে, হিমাচলপ্রদেশে ১৯৯৫ সালের আইপিএস ক্যাডার এন বেণুগোপাল। রাজ্য রাজনীতিতে সাম্প্রতিককালে কয়লাপাচার এবং গরুপাচার মামলা চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। কয়লাপাচার কাণ্ডের তদন্তের জাল ক্রমশ ছাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। এই মামলায় নাম জড়িয়েছে সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের। নাম জড়িয়েছে তাঁর শ্যালিকারও। এছাড়া বিনয় মিশ্রসহ একাধিক জনের নাম জড়িয়েছে। ২০২০-র ২৭ নভেম্বর সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা বেআইনি কয়লা পাচার নিয়ে একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলা দায়ের হয়েছিল ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেডের আওতাধীন সমস্ত কয়লা খনিতে। এই মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে নাম ওঠে অনুপ মাঝি ওরফে লালার, যাকে সকলে কয়লা মাফিয়া বলে আসানসোল অঞ্চলের মানুষ চেনেন এবং পুলিশের খাতাতেও তাঁর অপরাধ নথিভুক্ত রয়েছে। 

এই মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই দাবি করে এমন কিছু তথ্য প্রমাণের যাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জুড়ে গিয়েছে। সিবিআই-এর দাবি ছিল, লালার কাছে থেকে বেআইনি কয়লা পাচারের মোটা অর্থ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাচ্ছে। আর এই টাকা জমা পড়ছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সিবিআই এমন অভিযোগ করেছিল। এরপর থেকেই এই বেআইনি কয়লাপাচারকাণ্ডে লাগাতার নানা সময়ে অভিষেক ও রুজিরাকে জেরা করেছে সিবিআই। এই কেসের হাত ধরে প্রবেশ করে ইডি। তারা বেআইনিভাবে অর্থ তচ্ছরূপের অভিযোগ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরার জন্য সমন পাঠায়। 

অপরদিকে গরুপাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভপতি অনুব্রত মণ্ডলের। তাঁকেও ইতিমধ্যেই ৬ বারের উপরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করেছে। কিন্তু বেশিভাগগুলিই তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। পর্যবেক্ষকমহলের একাংশের মতে এই দুই হেভিওয়েট মামলার তদন্তের মধ্যেই ইস্টজোনে যুগ্ম অধিকর্তা বদল উল্লেখ যোগ্য। অপরদিকে নারদ মামলাও উল্লেখযোগ্য। রাজ্যের শাসকদলের একানেতামন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে এই মামলায়। ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে মদন মিত্র কেউ বাদ যাননি। নয়া যুগ্ম অধিকর্তার নের্তৃত্বে এই মামলা কোনদিকে মোড় নেয়, সেই দিকেই নজর থাকবে সংশ্লিষ্ট মহলের।