সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের এককালের মহাসসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এসএসসি সংক্রান্ত সিবিআইয়ের মামলাটির শুনানি ছিল শুক্রবার। এদিন ভার্চুয়ালিই উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। 

ভার্চুয়াল শুনানি নয়, এবার সশরীরেই আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ। সোমবার এসএসসি সংক্রান্ত সিবিআইয়ের মামলার শুনানির জন্য সকাল ১০টার মধ্যে সশরীরে পার্থকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। একইদিকে রয়েছে  শুনানি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এসএসসি সংক্রান্ত ইডি মামলাটিরও। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এই মামলার শুনানিতে অবশ্য ভার্চুয়ালিই উপস্থিত থাকার কথা পার্থর। 

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের এককালের মহাসসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এসএসসি সংক্রান্ত সিবিআইয়ের মামলাটির শুনানি ছিল শুক্রবার। এদিন ভার্চুয়ালিই উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে হাজিরায় জটিলতার সৃষ্টি হয়। এরপরই পার্থকে আলিপুরের সিবিআই আদালতে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। 

সূত্রের খবর ভার্চুয়াল শুনানির লিঙ্ক কাজ না করায় আদালতে হাজির করানো যায়নি পার্থকে। আদালতেও আনা হয়নি পার্থকে। ফলে আরও বৃদ্ধি পায় জটিলতা। এদিকে ভার্চুয়াল বা সশরীরে হাজিরা ছাড়া কোনও ব্যক্তিকে আটক করে রাখা যায় না। ফলে শুক্রবারই শুনানির আবেদন করেন পার্থর আইনজীবীরা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিনের জন্যও আবেদন করেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই যুক্তি খাটেনি। ৩১ অক্টোবর সোমবার পার্থ-সহ এসএসসি-র সিবিআই মামলায় অভিযুক্ত সকলকে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। 
সূত্রের খবর শুক্রবারের শুনানিতেও পার্থকে সশরীরে হাজির করানোর নির্দেশ ছিল। কিন্তু  প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের তরফে পার্থকে ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির করানোর আবেদন জানানো হয়। উল্লেখ্য প্রথম দিকে জেল থেকে বেরিয়ে সশরীরেই হাজিরা দিতে চাইতেন পার্থ। 

প্রসঙ্গত, এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) দুর্নীতি মামলায় পার্থ-অর্পিতার বিরুদ্ধে ৫৮ দিনের মাথায় চার্জ শিট পেশ করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবারই ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করা হতে পারে চার্জশিট পেশ করা হবে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে চার্জশিটে নাম থাকছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ আরও কয়েকজনের। 

আইন অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট না পেশ করতে পারলে জামিন পেতে পারেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কার্যত সেই আশঙ্কা থেকেই প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। তাদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মূল হোতা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। তাই তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। 
এর আগেও জামিনের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থর আইনজীবীর পক্ষ থেকে এদিন আদালতের কাছে 'যে কোনও মূল্যে' জামিন মঞ্জুর করার দাবি রাখা হল। এমনকী নিজ বাসভবনে নজরবন্দি থাকতেও রাজি তিনি। তবু যে কোনও শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি চান পার্থ। প্রাক্তন মন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছে, পার্থর একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তার জন্য দিনে মোট ১৭টি ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। পার্থর রক্তাল্পতাজনিত সমস্যা আছে, তা ছাড়া হিমোগ্লোবিন কম, ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেশি ইত্যাদি সমস্যার পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট ও শিরদাঁড়াতেও সমস্যা আছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন পার্থর আইনজীবী। তাই তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে জামিনের আর্জি জানানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন-
২০১৪ বনাম ২০১৭, টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে পালটা আন্দোলনে নামলেন টেট চাকরিপ্রার্থীরাই
ভারতের সীমানায় ‘বিচিত্র’ পরিস্থিতি, মোকাবিলা করতেই ‘অগ্নিপথ’ স্কিম চালু করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার?

‘রানিকে খান খান করে ছাড়ব’, শাসকদলকে কড়া হুঁশিয়ারি সুকান্ত মজুমদারের, প্রয়োজনে অস্ত্র তুলে নেওয়ার বার্তাও