সংক্ষিপ্ত

  • ষষ্ঠ দিনের বিক্ষোভে বাঁধ ভাঙল শিক্ষকদের
  • পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিকাশ ভবন ঘেরাও করল এসএসকে এবং এমএসকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা

রাজ্য জুড়ে চিকিৎসকদের আন্দোলনের ফলে রীতিমতো ব্য়াকফুটে চলে গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। সেই বিক্ষোভের সুরাহা খুঁজতে খুঁজতে তাঁরা টেরই পায়নি প্রশাসন, ক্রমেই অন্যত্র মাথাচাড়া দিচ্ছে শিক্ষকদের আন্দোলন।  এবার ঘুম কাড়তে তৈরি হলেন শিক্ষকরাও।

ষষ্ঠ দিনের বিক্ষোভে বাঁধ ভাঙল শিক্ষকদের। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিকাশ ভবন ঘেরাও করল এসএসকে এবং এমএসকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বেতন বৃদ্ধি-সহ বেশকিছু দাবি নিয়ে নির্বাচনের আগে অবস্থান বিক্ষিভে সামিল হন এই শিক্ষকমহলের প্রায় একহাজার কর্মী সমর্থকরা। নির্বাচনের পূর্বে তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হলেই তাঁদের দাবি মানা হবে। কিন্তু নির্বাচন কেটে গেলেও সুরাহা পাননি তাঁরা। এর পরেই গত সপ্তাহে আবারও সল্টলেকের বিধান মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনে নামেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। আজ সপ্তাহের শুরুতেই শিক্ষা মন্ত্রীর সাথে দেখা করার আবেদন রাখেন তাঁরা। কিন্তু সেই দাবি না মানা হলে বাঁধ ভেঙে ফেলার ভয়ও দেখিয়েছিলেন তাঁরা। আজ সেই ঘটনাই ঘটল। নতুন বিপদের মুখে পড়ল মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের প্রশাসন।

এদিন পুলিশের ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড ভেঙে বিকাশ ভবনের সামনে এসে পড়েন এস এস কে এবং এমএসকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিকাশ ভবনে ঘেরাও করে সামনে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

এই মুহূর্তে  এসএসকে এমএসকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতন পায় ৫৯০০ টাকার মত। এমএসকে শিক্ষকরা বেতন পান ৮৯০০ টাকা। অ্যাকাডেমিক সুপারভাইসাররা বেতন পান ৭৮০০ টাকা। অভিযোগ গত ৮ বছরে একটাকাও বাড়েনি বেতন। অভিযোগ মেলেনি বোনাসও। মেলা না শিক্ষকের স্বীকৃতিও। এর বিরুদ্ধেই এবার পথে নেমেছেন শিক্ষকেরা।