সংক্ষিপ্ত

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এবার প্রতিবাদে ফেটে পড়ল নেটদুনিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং #takethatxaviers।
পাশাপাশি নিজেদের সাঁতারের পোশাক পরা ছবি দিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অভিনেতা থেকে চিকিৎসক বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মহিলারা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এবার প্রতিবাদে ফেটে পড়ল নেটদুনিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং #takethatxaviers।
পাশাপাশি নিজেদের সাঁতারের পোশাক পরা ছবি দিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অভিনেতা থেকে চিকিৎসক বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মহিলারা। 
সম্প্রতি একটি খবর ঘিরে রীতিমত হইচই পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। সাঁতারের পোশাক পড়ে ছবি দেওয়ার 'অপরাধে' চাকরি খোয়াতে হয়ে কলকাতার এক নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে। অভিযোগ ইস্টাগ্রামে ওই শিক্ষিকার সাঁতারের পোশাক পড়া দুটি ছবি দেখতে পায় কলেজের এক ছাত্র। ছেলে শিক্ষকের এই ধরনের ছবি কেন দেখবে তা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান ওই ছাত্রের অভিভাবকরা। এরপরই ওই শিক্ষিকাকে নানা ভাবে হেনস্থার শিকার হতে হয় বলে শিক্ষিকার অভিযোগ। শুধু তাই নয় বেআইনিভাবে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল হ্যাক করা হয়েছে বলেও দাবি করেন শিক্ষিকা। এই মর্মে পুলিশে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি ওই শিক্ষিকা নিজের ইচ্ছায় চাকরি ছাড়েন। 
উল্টোদিকে শিক্ষার তরফে জানানো হয়েছে জুন মাসের ২১ তারিখে ইনস্টাগ্রামে ওই ছবি পোস্ট করেন তিনি। তারও দু'মাস পরে নিউটাউনের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজে যোগ দেন তিনি। অভিযোগ তাঁর প্রোফাইল প্রাইভেট করা থাকা সত্ত্বেও তাঁর অনুমোদন ছাড়া এই ছবি কী ভাবে ছাত্রের কাছে পৌঁছল? শুধু তাই নয়, ছাত্রের অভিভবকের তরফে অভিযোগ আসার পর ওই শিক্ষিকাকে একটি ঘরে বসিয়ে সাত জন ঘিরে ধরে রীতিমত জেরা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। তাঁর অনুমতি ছাড়াই তাঁর ছবি ঘুরতে থাকে হাতে হাতে। এমনকি তাঁকে এমন প্রশ্নও করা হয় যে এই ধরনের পোশাক পরা ছবি তাঁর বাড়ির লোকেরা ভালো চোখে দেখে কি না। সাত জনের সামনে বসিয়ে দেখানো হয় ছবির প্রিন্ট আউটও। 
এই মর্মে গত ২৪ অক্টোবর পূর্ব যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষিকা। তাঁর দাবি তাঁর ব্যক্তিগত ছবি ওই ভাবে দেখানোয় তাঁর 'যৌন হেনস্থা' হয়েছে। 
গত ২৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপকের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এরপর পুলিশি অভিযোগের কথা জানতে পেরে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মানহানির জন্য ৯৯ কোটি টাকার মামলাও করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

আরও পড়ুনরোজভ্যালি কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ, বাজেয়াপ্ত কেকেআর, সেন্ট জেভিয়ার্স-এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
সম্প্রতি দিল্লির একটি সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয় এবং এরপর থেকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। ঘটনার প্রতিবাদে সরব শিক্ষক থেকে অভিনেতা, চিকিৎসক নানা পেশার লোকজন। মুম্বইয়ের এক কলেজের শিক্ষক এই প্রসঙ্গে বলেছেন,"নেটমাধ্যমে কে কী ছবি দেবে তা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়, শিক্ষক বলে কী তাঁর কোন ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ থাকতে নেই।"
শিক্ষিকার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন পড়ুয়ারাও। তাঁদের অনেকেরই মতে পড়ুয়ারা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সচেতন হতে পারে তবে শিক্ষকদের কেন সেই অধিকার থাকবে না?