সংক্ষিপ্ত
- এনআরসি ও সিএএ-র প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছেন বহু মানুষ
- এনআরসি ও সিএএ-র বয়কটের ডাক দিয়েছেন বাংলার বহু শিল্পীরা
- আন্দোলনে প্রত্যেকের মুখে একটাই কথা,'কাগজ আমরা দেখাব না'
- এবার আন্দোলনে সামিল হলেন বিশিষ্ট সাহিত্য়িক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
এনআরসি ও সিএএ-র প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছেন বহু মানুষ। সেখানে সামিল হয়েছেন বিশিষ্টজনেরাও। ইতিমধ্যেই এনআরসি ও সিএএ-র বয়কটের ডাক দিয়েছেন বাংলার শিল্পীরা। সেখানে রয়েছেন সংবেদনশীল মানুষ থেকে শুরু করে পড়ুয়ারাও। আন্দোলনে সামিল হয়ে প্রত্যেকের মুখে একটাই কথা,'কাগজ আমরা দেখাব না'। আর এবার সেই প্রতিবাদে সামিল হলেন কলকাতার অন্য়তম বিশিষ্ট সাহিত্য়িক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, বাংলার আগে সিএএ বিরোধী বিল পাশ পঞ্জাবে, সদিচ্ছা নিয়ে কী বলল তৃণমূল
ভিডিওর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী, রূপম ইসলাম। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, মনোরঞ্জন ব্যাপারী, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, কঙ্কণা সেন শর্মা, নন্দনা দেবসেন প্রমুখ। আর এবার সেই আন্দোলনে সামিল হলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনিও কাগজ দেখাতে রাজি নন। অবশ্য় কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল। তবে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছে না বিশিষ্টজন থেকে জন সাধারন। প্রত্যেকের মুখে এক স্লোগান নো এনআরসি,নো সিএএ। আর সেই প্রতিবাদে নতুন সংযোজন হল এবার,কাগজ আমরা দেখাব না।
আরও পড়ুন, দিনে শীত উধাও হবে কলকাতায়, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা
শুক্রবার হলদিয়ায় এক সাহিত্য উৎসবে যোগ দেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, তিনিও তাঁদের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। তিনিও এনআরসি , সিএএ চাইছেন না। কারণ, যারা উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে বসবাস করে তাঁরা জানে অনুপ্রবেশের সমস্যা একটা রয়েছে। এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি মাত্রায় রয়েছে অসমে। পশ্চিমবঙ্গেও কিছুটা পরিমানে আছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বহু মানুষ আবারও বাস্তুহারা হবে। বহু মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সম্প্রতি কাছাড়ে একটি সাহিত্য সভায় তিনি গিয়েছিলেন। সেখানে পুরোপুরি নাগরিকত্বের প্রশ্নে সাহিত্য়ক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়-র মন আরও ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছে।