সংক্ষিপ্ত

ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে নতুন ৮টি থানা তৈরি হচ্ছে। সেগুলি হল হালিশহর, নাগেরবাজার, দক্ষিণেশ্বর, কামারহাটি, জেটিয়া, শিবদাসপুর, বাসুদেবপুর, মোহনপুর। 

বিপুল ভোট পেয়ে রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় (Third Time in Pewer) এসেছে তৃণমূল (TMC)। আর তারপর কয়েক মাস যেতে না যেতেই পুলিশ (Police) প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে একাধিক থানা (Police Station)। আর সেই থানাগুলিকে ভেঙে ছোট থানা তৈরি করা হয়েছে। এলাকাগুলিকে কমিশনারেটও (Commissionerate) করা হয়। এর ফলে বেড়েছে কর্মসংস্থানও (Employment)। সব মিলিয়ে বিভিন্ন পদমর্যাদায় ৯৯৮ জন পুলিশ আধিকারিক-কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে (State Cabinet Meeting) এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। 

ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের (Barrackpore Police Commissionerate) অধীনে নতুন ৮টি থানা তৈরি হচ্ছে। সেগুলি হল হালিশহর, নাগেরবাজার, দক্ষিণেশ্বর, কামারহাটি, জেটিয়া, শিবদাসপুর, বাসুদেবপুর, মোহনপুর। এছাড়াও বাড়ুইপাড়া, আটচালা বাগনান এবং গোলঘরে তিনটি ফাঁড়ি তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া ব্যারাকপুর, বিধাননগর, হাওড়া সহ একাধিক পুলিশ কমিশনারেট করা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে কলকাতা পুলিশের কাজের পরিধিও। 

আরও পড়ুন- মেট্রো ডেয়ারি মামলার তদন্ত করতে প্রস্তুত সিবিআই, অস্বস্তিতে রাজ্য

গত কয়েকদিন আগেই কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে ব্যাপক নিয়োগ করা হয়েছে। আর এর মধ্যেই নতুন করেই ফের একবার নিয়োগের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি রাজ্য পুলিশে নিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। 

আরও পড়ুন- মেদিনীপুরে হস্টেলে উদ্ধার ডাক্তারির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ, মিলেছে সুইসাইড নোট

সেখানেই একাধিক থানা তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বেলঘরিয়া থানার দায়িত্ব ভেঙে তৈরি হবে দক্ষিণেশ্বর এবং কামারহাটি। এছাড়াও হালিশহর, নাগেরবাজার, জেটিয়া, শিবদাসপুর, বাসুদেবপুর, মোহনপুর থানা তৈরি হবে। পশ্চিমবঙ্গ স্পেশাল টাস্কফোর্সের অধীনে বিশেষ থানা তৈরির কথা ভাবছে সরকার। আর তা হলে দুটি থানা তৈরি হবে। তার জন্য অনেক কর্মীর প্রয়োজন রয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন- 'সিঙ্গুর' আজও বেকার চাষ নেই শিল্পও নেই বর্তমান সরকারের কাছে কাতর আর্জি স্থানীয়দের

থানা এবং ফাঁড়িতে বিভিন্ন পদমর্যাদার ৭৭৯টি পদ সৃষ্টি হতে চলেছে। সংশ্লিষ্ট থানা এবং ফাঁড়িগুলোতে ১১টি কর্মবন্ধু (আংশিক সময়) নিয়োগ হতে চলেছে। এতদিন পর্যন্ত বীরভূমের নানুর থানার অধীনে ছিল কীর্ণাহার পুলিশ ফাঁড়ি। এবার সেটি পূর্ণ থানার মর্যাদা পেতে চলেছে। এর ফলে লাভপুর থানার অধীনে থাকা কিছু এলাকা কীর্ণাহার থানার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। তার জন্য বাড়ছে কর্মসংস্থানের সংখ্যাও। ওই জায়গায় বিভিন্ন পদমর্যাদার ২১৯ জনকে নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি এখানে দু’জন কর্মবন্ধু নিয়োগ করা হবে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রায় ৯৯৮ জন পুলিশ আধিকারিক-কর্মী নিয়োগ করা হবে।

তবে কবে থেকে নিয়োগ শুরু হবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি রাজ্য সরকারের তরফে। যদিও শীঘ্রই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে সূত্রের খবর। এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। 

YouTube video player