সংক্ষিপ্ত

  • কলকাতার নাকের ডগায় জেএমবি জঙ্গিঘাঁটি
  • উলুবেরিয়ায় চলছিল ট্রেনিং
  • উদ্ধার জেহাদি বই, ল্যাপটপ

দিন কয়েক আগেই চারজন জঙ্গিকে হাতেনাতে ধরেছিল গোয়েন্দারা। এবার কলকাতার নাকের ডগায় উলুবেড়িয়ায় জঙ্গিঘাঁটির হদিশ পেল এসটিএফ রাজাপুরের তেহট্টে জঙ্গিঘাঁটিতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হল একাধিক ল্যাপটপ, সি‌ডি, জেহাদের বই এবং নানা সামগ্রী।

কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবারই প্রথমে শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে পার্কিং লট থেকে দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি মোবাইল ফোনে জেহাদি ভিডিও, ছবি-সহ নানা তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিল এসটিএফ।  এদের সূত্রে খবর পেয়েই আরও দুই জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশে গ্রেফতারি এড়াতেই এ রাজ্যে এসে আশ্রয় নিয়েছিল তিন বাংলাদেশি জঙ্গি। তাদের নাম জিয়াউর রহমান ওরফে জাহির আব্বাস, মামুনুর রশিদ এবং মহম্মদ শাহিন আলম। এদের সঙ্গে ছিল বীরভূমের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম ।

সূত্রের খবর, কলকাতার ধরা পড়া চার জঙ্গিকে জেরা করেই এই ঘাঁটির হদিশ পায় গোয়েন্দা বিভাগ।ধৃতদের মধ্যে দুই জঙ্গি এইখানে থাকতে শুরু করেছিল। এই গ্রামাঞ্চলে তারা ফেরিওয়ালার পরিচয় দিয়েছিল। একজনের নাম হয়েছিল শেখ শমিম,আরেকজন শেখ আল আমিন নামে পরিচত ছিল। মাসখানেক আগে এক যুবক এসে তাদের সঙ্গে থাকতে শুরু করে। ইদের পর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি। এই জেএমবি জঙ্গিরা নকল পরিচয়পত্র বানানোতেও সিদ্ধহস্ত বলে দাবি এসটিএফ-এর। এরা বাড়িওয়ালাকে নিজেদের নামে ভোটার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল।