সংক্ষিপ্ত
- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী
- ফেসবুকে ক্ষমা চাইলেন 'অভিযুক্ত' ছাত্র দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
- নিজেই জানালেন হেনস্থার জন্য নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে
এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা করার জন্য ক্ষমা চাইলেন 'অভিযুক্ত' ছাত্র দেবাঞ্জন বল্লভ চট্টোপাধ্যায়। নিজের ফেসবুক ওয়ালে তিনি লিখেছেন, আমি যে ব্য়বহার করেছি তার জন্য় নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। আমার ব্যবহারের জন্য় আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
যাদবপুরে মন্ত্রী হেনন্থাকাণ্ডে সবার ওপরে ছিল তার নাম। সংস্কৃত কলেজের দেবাঞ্জন বল্লভ চট্টোপাধ্য়ায়ের ছবি ছিল ফেসবুকের পাতায় পাতায়। ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চুলের মুঠি ধরা ছবি দেখেই তাঁর হাত ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বিজেপি ব্রিগেড। খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন,যারা মন্ত্রীর গায়ে হাত তুলেছেন তাদের রেয়াত করা হবে না। যারপরই দেবাঞ্জন বলেছিলেন, তার ফেসবুক পেজ থেকে ছবি ,বাবার নাম, বাবার পেশা,বাড়ির ঠিকানা জেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পিছনে জড়িয়ে রয়েছে বিজেপির আইটি সেল। এই অবস্থায় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী মানুষের কাছে তার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায় দেবাঞ্জন।
যাদবপুরে মন্ত্রী হেনস্থাকাণ্ডের 'অভিযুক্ত' জানায়, অসমে ১৯ লক্ষ মানুষের এনআরসি থেকে নাম বাদ পড়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল সে। ঘটনার সময় মন্ত্রীর কাছে এনআরসি নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় সে। কিন্তু উত্তরের বদলে বাবুল সুপ্রিয় ও তাঁর দেহরক্ষীরা ছাত্রছাত্রীদের ওপর বল প্রয়োগ করে। তাতেই যাবতীয় বিপত্তির সূত্রপাত। দেবাঞ্জনের দাবি,যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে বিজেপির আইটি সেল থেকে ছবি বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে। যার শিকার হতে হচ্ছে অনেক ছাত্রছাত্রীকে।
কিন্তু কিছু সময়ের ব্যবধানে ঘটে গেল মত পরিবর্তন। নিজেই ফেসবুক ওয়ালে হেনস্থাকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চাইলেন এই ছাত্র। ইতিমধ্যেই এই পোস্ট ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। তবে তা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।