সংক্ষিপ্ত
- বাবুল সুপ্রিয়র বিতর্কিত পোস্টের জন্য সবার সামনে ক্ষমা চাওয়া উচিত
- ভিডিয়ো প্রকাশ করে এমনই মন্তব্য় করলেন ১৯ বছরের মুস্তাফিজুর
- মুসলিম বলেই তাকে ফেসবুকে তাকে নিশানা করেছেন বিজেপি সাংসদ
- যদিও এ বিষয়ে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলে মন্তব্য করেছেন বাবুল
সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবুল সুপ্রিয়র বিতর্কিত পোস্টের জন্য সবার সামনে ক্ষমা চাওয়া উচিত। ভিডিয়ো প্রকাশ করে এমনই মন্তব্য় করলেন ১৯ বছরের মুস্তাফিজুর রহমান। তার দাবি, কেবল মুসলিম বলেই ফেসবুকে তাকে নিশানা করেছেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। যদিও এ বিষয়ে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলে মন্তব্য করেছেন বাবুল।
সম্প্রতি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়েছে রাজ্য। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সিএএ প্রতীকি কাগজ ছিঁড়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গোল্ড মেডেলিস্ট দেবস্মিতা চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যলয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রকাশ্য়েই এই কাজ করেন তিনি। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী। দেবস্মিতার শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। ঠিক পরদিনই বিজেপি সাংসদের পোস্ট নিয়ে নিন্দা করেন বীরভূমের ওই যুবক। পাল্টা বাবুল ও বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে মুস্তাফিজুর বলেন, বাবুলদা আপনি ও আপনার দলের সভাপতি কতটা পড়াশোনা করেছেন। দিলীপ ঘোষ তো গরুর দুধ থেকেও সোনা বের করছে।
বছর ১৯-এর যুবকের পোস্টের পাল্টা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাবুল বলেন, মুস্তাফিজুর রহমান আগে তোমাকে তোমার দেশে পাঠাই-তারপর পোস্টকার্ডে চিঠি লিখে সব উত্তর দেব। বিজেপি নেতার এই বক্তব্য় ঘিরেই সরগরম হয়ে ওঠে সোশ্য়াল মিডিয়া। অবশেষে ভিডিয়ো পোস্ট করে ওই বক্তব্য়ের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলেন মুস্তাফিজুর। ওই যুবক বলেন,'কেবল মুসলিম বলেই তাকে বিজেপি নেতা নিশানা করেছে। আমি একজন দেশের নাগরিক। ভারত একটা ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। একজন মন্ত্রী হয়ে কী করে উনি এই ধরনের মন্তব্য় করেন ? আমরাই ওনাকে নির্বাচিত করেছি। '
এদিকে যুবকের অভিযোগ নিয়ে পাল্টা মুখ খুলেছেন আসানসোলের সাংসদ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'ব্যঙ্গ করেই ওই কথা বলেছিলেন আমি। যারা আমার কথা বুঝতে পারেনি তারা বোকা। আমার বক্তব্য়ের মধ্য়ে হিন্দু-মুসলিম বিভেদের কোনও জায়গা নেই। আমি মুর্খের কাছে ক্ষমা পার্থনা করতে চাই না।' এদিকে বাবুলের এই মন্তব্য় নিয়ে জলঘোলা শুরু করেছে জাতীয় বাংলা সম্মেলন নামের একটি গোষ্ঠী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্য়ের জন্য রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে অভিযোগ জানাবেন তারা।