সংক্ষিপ্ত

সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় স্থানাধিকারি অঙ্কিতা আগরওয়াল জানিয়েছেন প্রচুর পড়াশুনা করেছিলেন। দিনের মধ্যে ৮-১২ ঘণ্টা পড়তেন।

বাংলার সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালন। ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করলেন বাংলার মেয়ে অঙ্কিতা আগরওয়াল। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্রী। বেশ কয়েক বছর ধরেই সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রথমবার তিনি ভারতীয় রাজস্ব পরিবেষার কাস্টমস ও আবগারি বিভাগে চাকরি পেয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার সফল হন ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায়। তিনি জানিয়েছেন কঠোর পরিশ্রম আর অদম্য জেদই তাঁর সাফল্যের চাবিকাঠি। 

সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় স্থানাধিকারি অঙ্কিতা আগরওয়াল জানিয়েছেন প্রচুর পড়াশুনা করেছিলেন। দিনের মধ্যে ৮-১২ ঘণ্টা পড়তেন। নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করেছেন। তবে এই সময়টা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে অনেকটাই সময় কম কাটিয়েছেন। তিনি বলেছেন প্রথমেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে যান। কারণ এই জাতীয় মাধ্যম তাঁর পড়ায় ব্যাঘাত ঘটাত। একাগ্রস্ত নষ্ট করে দিত।  যতটা সম্ভব মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।  তিনি আরও জানিয়েছেন কম্পিউটারে তিনি সব নোট তৈরি করতেন। নানা ধরনের প্রশ্ন একজায়গায় জড়ো করে রেখে সেগুলি বারবার পড়তেন। পড়ার পাশাপাশি লেখাও জরুরি বলে জানিয়েছেন সফল অঙ্কিতা আগরলওয়াল। 

ইউপিএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি সম্পর্কে টিপস দিতে গিয়ে তিনি বলেন, একটি একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। আর ইউপিএসসিতে চান্স পাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকাও খুব জরুরি। নূন্যতম দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নিতে হয় এই পরীক্ষায় বসার জন্য। আর পুরো প্রস্তিতির জন্য প্রথম থেকেই একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বেছে নিয়েছিলেন । কিন্তু দুটি বিষয় তাঁর কাছে নতুন ছিল। তাই প্রথম থেকেই এই দুটি বিষয় নিয়ে তিনি পড়াশুনা করেছিলেন। 

অঙ্কিতা আগরওয়াল আরও জানিয়েছেন, মেধা তালিকার শীর্ষে ভারতীয় মহিলাদের দেখতে পেয়ে তাঁর খুব ভালো লাগছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এটি তাঁর কাছে খুবই গর্বের বিষয়। এই বছর ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছেন মহিলারা। প্রথম দ্বিতীয় আর তৃতীয় হয়েছে- শ্রুতি শর্মা, অঙ্কিতা আগরওয়াল, গামিনী সিঙ্গালা। প্রথম স্থানীধিকারী শ্রুতি শর্মা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী। চলতি বছর ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৬৮৫ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।