সংক্ষিপ্ত
নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে ফের এক হাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। এদিকে মেধা তালিকায় নাম থাকার পরও এখনও পর্যন্ত চাকরি পাননি একাধিক চাকরিপ্রার্থী। আন্দোলন জারি রেখেছেন তাঁরা। আর আজ ইদের দিন সেই সব আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের ফোন করে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। যদিও নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে ফের এক হাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত বলেন, "রাজ্যে যাঁরা যোগ্য চাকরিপ্রার্থী তাঁদের চাকরি কিনতে হচ্ছে। লক্ষ-লক্ষ, কোটি-কোটি টাকা ঘুষ নিচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। আগে টেট ও এসএসসি প্রতিবছরই হত। কিন্তু, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) কথায় এগুলি দুর্গাপুজো নয়, তাই এসএসসি প্রতিবছর হয় না। নিয়োগ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদের সঙ্গে দ্বিগুণ করবেন। বলেছিলেন ডবল ডবল চাকরি হবে। যেন ডবল ডিমের অমলেট খাওয়াবেন উনি! সে সব কিছুই হয়নি। নিয়োগও কোথাও কিছুই হল না। এমনকী, ৬ বছর ধরে এসএসসির কোনও বিজ্ঞপ্তিও বের হয়নি।"
আরও পড়ুন- ইদের সকালে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের ফোন মমতার, দিলেন দ্রুত নিয়োগের প্রতিশ্রুতি
উল্লেখ্য, নিয়োগের দাবিতে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তি ও মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনে শামিল হন চাকরিপ্রার্থীরা। ইদের সকালেও জারি ছিল বিক্ষোভ ও আন্দোলন। গত কয়েকদিন ধরেই চরমে ওঠে এই আন্দোলন। আর আজ সকালে ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়ার ফোন থেকে আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনকারীদের দাবিও শোনেন তিনি। সব শোনার পর দ্রুত নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর বেলার দিকে সেখানে পৌঁছে যান শিক্ষা দফতরের দুই আধিকারিক। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কথা বলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- মমতার ফোনের পরই আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শিক্ষা দফতরের, জট কি তবে কাটল?
তবে দীর্ঘক্ষণ ধরে আলোচনা চললেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। আন্দোলনকারীদের একাংশ জানিয়েছেন, আলোচনায় তাঁরা সন্তুষ্ট নন। মুখের কথায় নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা হাতে নিয়োগপত্র পাচ্ছেন ততক্ষণ এই আন্দোলন জারি রাখবেন। কোনও অবস্থাতেই তাঁরা এই অবস্থানের পথ থেকে সরে দাঁড়াবেন না। এদিকে বৃহস্পতিবার বিশেষ আলোচনার জন্য আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের বিকাশ ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- মমতা-অভিষেককে নিয়ে অপরূপার টুইট, সমালোচনায় সরব বিরোধীরা
এদিকে রাজ্যে শিল্পের অবস্থা নিয়েও মমতাকে আক্রমণ শানান সুকান্ত। তিনি বলেন, "আমরা ভেবেছিলাম গত এক বছরে শিল্প হবে। যখন সরকারি চাকরি হচ্ছে না, কখন রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কোনও শিল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু, আমরা দেখলাম দেখলাম চপ ও কাশফুল শিল্প ছাড়া রাজ্যে আর কোনও শিল্প নেই। গত পাঁচটি বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনে ১২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে গল্প শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, বাংলার জিডিপি-তে দেখা যাচ্ছে বাংলায় এই বিনিয়োগের ৫০ শতাংশ এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। ইএসআইয়ের রেকর্ডও তাই বলছে।"